ট্রলারে শেঠের আতিথেয়তা নিয়ে পিস্টন ভুলতে চাইলো মারদাঙ্গা ইংরেজী সিনেমার মত আজ সারাদিনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি। সেখানে অস্ত্রধারী পাহারাদার ছাড়াও আছে শেঠের নিজস্ব ডাক্তার। তার জন্য বরাদ্দ
পুলিশ পাহারায় সাইরেন বাজিয়ে এম্বুলেন্স ছুটছে আহত পিস্টনকে নিয়ে। ইংলিশ রোড থেকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে যাচ্ছে। গভীর রাত। ফাঁকা রাস্তা। এত রাতে গাড়ি ঘোড়া নাই বললেই চলে।
কুন্তি তার পুলিশ চাচার ভরসা দিলেও কাউঠা সাহস পেলো না পিস্টনকে হাসপাতালে ফেলে রাখতে। পিস্টন চোখ মেলে তাকালে তার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে ভেগে যাওয়ার আইডিয়াটা
চৌরাস্তার মোড়ে পৌঁছানোর আগেই বৃষ্টিতে ভিজে জবুথবু হয়ে গেলো সবাই। ঘুটঘুটে অন্ধকার চারিদিকে। রাস্তার বাতিগুলি মনে হয় ফিউজ হয়ে আছে। ভালই হল। কেউ দেখতে পাবে না ওদেরকে।
জীপ ছুটছে তুমুল গতিতে। নিশি রাত। রাস্তায় গাড়ি নাই তেমন। নুলা ড্রাইভ করছে। কাউঠা পাশের সিটে বসেছে। নুলাকে ড্রাইভ করতে দিয়ে পিস্টন পিছনের সিটে কাত হয়ে হেলান
রাসু’র খুনী আজিমপুরের বজু’রে খুন করে পিস্টন তার প্রিয়জনের খুনের বদলার সুখ পেয়েছে বটে, কিন্তু পুলিশ তাকে ছাড়ছে না। তার ছোট মুরুব্বী পুলিশের ওসি তাকে খবর পাঠিয়েছে
Cockroach ও Water bug দেখতে এক রকম বলে দুইটাকেই সবাই তেলাপোকা বলে ডাকে। পার্থক্য শুধু একটা পানির কাছাকাছি থাকে আরেকটা শুকনা ও উষ্ণ জায়গায় থাকে। কিন্তু মূলতঃ
এলোমেলো ভাবে অনেকবার লিখেছি আমি আমার জীবনে কাটানো শ্রেষ্ঠ সময় নিয়ে। গুছিয়ে কখনো হলের জীবন নিয়ে বিশদভাবে লেখা হয় নাই। তাই ভাবলাম আবার চেষ্টা করি। শ্রেষ্ঠ সময়টুকু
ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে নিউইয়র্কে ফিরছিলাম। পাশের সিটের প্যাসেঞ্জার কেমন হবে তাকিয়ে দেখে নেয়া আমার চিরাচরিত অভ্যাস। তাকিয়ে দেখি শান্ত শিষ্ট এক দেশী ভাই চুপ করে বসে
বাবার সাথে শুক্রবারে বাধ্যতাম্যুলক মসজিদে যাইতে হইত জুমা’র নামাজ পড়ার জন্য। তখন নামাজে মনোযোগ দেয়ার চাইতে বেশি মনোযোগ থাকত স্যান্ডেল ঠিক আছে, নাকি কেউ চুরি করতেছে সেইদিকে।
প্রথম দেখায় আড্ডাবাজ আর ভবঘুরে ছেলেটির নাজনিনকে ভাল লেগে গেলো, যা কিনা তার চারিত্রিক বৈশিষ্টের বিপরিত। বাংলা ডিপার্টমেন্টের মেয়ে নাজনিন আর দশটা মেয়ের চেয়ে ভিন্ন। ছিপছিপে লম্বা,
এস,এস,সি পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে নিজেকে বাসার বড় ভাইদের সমতুল্য ভাবতে শুরু করে দিলাম। সন্ধ্যা হলে পড়তে বসতে হয় না। উলটা বন্ধুদের সাথে রাত করে
যুদ্ধ শেষ। দেশ স্বাধীন। বেঁচে থাকা মানুষেরা সবাই যে যার ঘরে ফিরে এসেছে। আমি গ্রামেই রয়ে গেলাম আরো দুই বছর। তারপর যখন বড়দের হুঁশ হল, এক সময়
মনের ভিতর প্রেমের ভান্ডার থাকলেও আমার প্রেমের ভাগ্য খুবই খারাপ। রাশিতে মনে হয় একেবারে ‘নেগেটিভ’ কথাটা লেখা ছিল। সেই ছোটবেলা থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পার হয়ে যাওয়া
মহাখালী ওয়ারলেসের কাছে আদর্শ বিদ্যালয়ে ক্লাস টু তে পড়ি তখন। ক্লাসের একপাশে ছেলেরা, আরেক পাশে মেয়েরা বসে। ডেইজী ছিল ক্লাসের সেকেন্ড গার্ল। ঘোলা চোখের দারুন সুশ্রী মেয়ে।
কার কেমন ধারনা জানি না, আমার কাছে মনে হয়েছে প্রেম রোগের ভাইরাস মানুষ মায়ের পেট থেকে নিয়ে জন্মায়। নারীর ভালবাসার ছোঁয়া পেয়ে জন্ম নেয় বলেই মনে হয়
ঈদের ছুটির আরো কয়েকদিন পরে হলে ফিরে এলো বকুল। দিনাজপুরে তার বাড়ি। সারাদিন জার্নি করে হলে পৌঁছে টের পেলো তার শার্টের ভেতরের পকেটে লুকিয়ে রাখা পাঁচ হাজার
কিছুদিন আগেও যখন বাসে ট্রেনে কোন বুড়ো মানুষ দেখতাম আস্তে করে মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতাম এই ভয়ে যদি কোন সাহায্য চেয়ে বসে। সাবওয়েতে একটা সীট পেয়ে
কায়সার মামু সবসময় এমন কুকর্ম করে। একসাথে বেড়াতে গিয়ে আগেও এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। আজ আবার হল। রাত এগারোটার নিশিতা ট্রেনে ঢাকা যাবে ওরা। ওরা মানে কায়সার ও
জন্মদিন কি জিনিস বুঝতে আমার অনেকদিন সময় লেগেছিল। আমাদের বাসায় এসবের কোন বালাই ছিল না। তিনবেলা খাও, স্কুলে যাও, লেখা পড়া কর আর পরীক্ষা দাও। রেজাল্ট বের
আচমকা কারো বুকের ভিতরে হৃদপিন্ড নামের ঘড়ির কাঁটা যখন থেমে যায়, মানুষ ডায়াল করে ইমার্জেন্সি নাম্বার ৯১১ তে। অপারেটর সবার আগে নক করে EMT = Emergency Medical
Intuition শব্দের উপযুক্ত বাংলা অবচেতন মনের বিশ্বাস ছাড়া আর কি হতে পারে আমার ধারনা নাই। অবচেতন মনের বিশ্বাসের পেছনে কোন যুক্তি থাকে না। কিন্তু দেখা যায় অনেক
বিজয় এর স্বাদ ভালবাসি। উপভোগ করি। বিজয়ের মাস এলে দেশপ্রেমের বন্যা বয়ে দেই ফেসবুকের পাতায়। তারপর আবার যেই লাউ সেই কদু। অনেক সাধনা আর কষ্টের কোন প্রাপ্তি
সকাল দশটা বাজে। আটটায় আমরা তিন বন্ধু মিলে মর্নিং ওয়াক শেষ করে দেশী রেস্তরাঁয় নাশতা খেলাম রুটি, আলুভাজি, ডাল আর ডিমের অমলেট দিয়ে। আর মাত্র দুই রাত
বিশ একুশ বছর বয়সে গিয়েছিলাম একবার। তখন কেনাকাটা দূরের কথা, পয়সার অভাবে ভাল কোন রেস্তোরাঁতেও ঢুকি নাই। তাই কলকাতা শহরের সব কিছু অচেনা আমার। বন্ধু জাকির প্রায়
বাইরে অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। বারান্দায় গিয়েছিলাম বৃষ্টি দেখতে। বাতাসের সাথে পানির ঝাপটা এসে ভিজিয়ে দিলো। ঘুটঘুটে অন্ধকার বাইরে। নিকষ কালো রঙের। শুধু বৃষ্টি আর বাতাসের শব্দ
প্রবাস জীবনের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হল বৈধ কাগজ ছাড়া থাকা। আমার আরেকটা আতঙ্ক ছিল, সেটা হল গাড়ী চালানো। প্রবাসে এসে দেখি আমার আগে আসা সব বন্ধুরা গাড়ি
রবিবার সকাল। সাপ্তাহিক ছুটির দিন। বাসার সবাই নাক ডেকে ঘুমায়। আমি কাজ করি রবিবারে। সেজন্য কোন দুঃখ নাই। বরং আমার খুব ভালো লাগে রবিবারে কাজে যেতে। ছুটির
একচল্লিশ বছর পর স্কুলের বন্ধু খাইরুলের সাথে দেখা হল তার বর্তমান ঠিকানা চীন দেশে। ওর দেশে ওর দাওয়াতে বেড়াতে গেছিলাম ২০১৬ এর নভেম্বরে। গুছানো না হলেও চীনে
২০১৯এর এপ্রিল মাসে ইলিনয় রাজ্যের শিকাগো শহরে এই হৃদয় বিদারক ঘটনাটা ঘটে। মার্লোন ওচোয়া নামের উনিশ বছরের গর্ভবতী এক হিস্পানিক মহিলাকে গলা টিপে হত্যা করে তার গর্ভের
জিয়াউর রহমানের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারীতে এবং নিহত হন ১৯৮১ সালের ৩০শে মে’তে। যুদ্ধে জীবিত ফিরে আসা সৈনিকদের সাহসিকতার জন্য শ্রেষ্ঠ সন্মাননা হিলাল ই জুরাত (
আমার যত ভয়, এই সাপ প্রাণীটাকে। সেই ছেলেবেলায় যে সাপের ভয় মনে ঢুকেছিল, সেটা এখনো একই রকম আছে। খামোকাই যখন তখন সাপের ভয়ে আঁতকে উঠি এখনো। যুদ্ধের
ঢাকায় রিকশায় চড়ে ঘুরে বেড়ানো খুব মিস করি। এখন তো রিকশার রাস্তাই নাই। যাওবা আছে, জ্যামের কারণে মজা নাই। তাই উঠা হয় না। ফেইসবুকে পরিচয় হওয়া এক
যখন পিছনে ফিরে তাকাই,শৈশবের কত কথা মনে পড়ে। কত বয়স হলে মানুষ কথা মনে রাখা শুরু করে আমার ধারনা নাই।। নিজের বেলায় দেখি অনেক পিচ্চিকালের কথাও আমার
মগবাজার চৌরাস্তা থেকে বাংলামটরের দিকে যেতে হাতের বাঁয়ে প্রথম চিপা গলিতে ঢুকলে দ্বিতীয় বাড়িটাই ছিল ২০নং নিউ ইস্কাটন রোড। এই বাড়িটার দোতলার বাম দিকের সাড়ে তিন রুমের
ধুতুরা গাছে নাকি বিষ আছে শুনেছি।সেই বিষ কি পাতায় না ফুলে জানা নাই।ধুতুরা ফুল ফুটে আছে দেখলেই আমি পট পট করে ফুটিয়ে ফেলতাম। কই, আমার হাতে তো
আমি কোন রাজনীতিবিদ নই। ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম শখের বশে। কোন আদর্শের জন্য নয়। আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে যা কিছু দেখার সুযোগ হয়েছে তাতে জেনেছি আমাদের দেশের
শীতের দুপুরে লাঞ্চ সেরে বিল্ডিংএর বাইরে দাঁড়িয়ে হীমশীতল বাতাস থেকে বাঁচার জন্য জ্যাকেটের হুডটা মাথার উপর টেনে দিয়ে বিড়ি টানছিলাম আপন মনে। সামনের সাইড ওয়াক দিয়ে হাজার
আড্ডাবাজ মানুষ আমি। পারলে পছন্দের মানুষদের সাথে প্রতিদিন আড্ডা দেই। দিতামও তাই। যতক্ষণ একা ছিলাম তখন প্রতিদিন আড্ডা হতো। দেশ এবং বিদেশে সবখানেই। একদিন আড্ডা না হলে
শ”য়ে শয়ে সহপাঠী বন্ধুর ভিড়ে কেউ কেউ হৃদয়ের গহীনে ঢুকে পড়ে ডেঙ্গু মশার মত কামড়ে ধরে থাকে। সেই কামড় যন্ত্রণার চেয়ে মধুর লাগে বড় বেশী। তারা কেন
দেশে এখন মাঘ মাস। মানে শীতকাল। তাপমাত্রা সেন্টিগ্রেডের হিসাবে চৌদ্দ ডিগ্রী। তাতেই মানুষের শীত নিয়ে অভিযোগের শেষ নাই। সবাই নাকি কাঁপতে কাঁপতে শেষ। কাঁপার তো কথাই। ইট
পরী আজ রোজা রেখেছে। সারাদিন শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছে কি কি খাবে ইফতারীতে। মাত্র আসরের নামাজ হয়েছে। তাকিয়ে দেখলো মা নামায পড়ে তসবিতে চুমু খেতে খেতে জায়নামাজ
১৯০৪ সালে প্রথম ব্যাক্তি মালিকানায় নিউইয়র্ক শহরের মানুষের প্রতিদিনের চলাচলের জন্য সীমাবদ্ধ লাইনে রাস্তার উপরে ব্রীজ তৈরি( Elevated Train ) করে চালু হয় ‘সাবওয়ে’ সিস্টেম যা পরবর্তিতে
আমেরিকার টাকা পয়সা ছাপানোর দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কোষাগার যার নাম ‘ইউএস ট্রেসারী’, তার আবার আলাদা দুইটা ভাগ আছে। কাগজের নোট ছাপায় ‘ব্যুরো অফ এনগ্রেভিং এন্ড প্রিন্টিং’। আর
না জানলে মনে হয় আমেরিকার শাসন পদ্ধতি খামোকা মহা জটিল কিছু। জানার পর অবাক হতে হয় ভেবে সেই কোন আদিম কালে আমেরিকা রাষ্ট্রের ‘ফাউন্ডিং ফাদার্স’ মানে স্থপতিরা
যদি নিজের শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করি আর তার সাথে সেই সময়ের বাড়িটা চোখের সামনে থাকে কেমন অদ্ভুত লাগে না ! হ্যাঁ বাড়িটা এখনো একদম আগের চেহারা নিয়ে
ঈদের ছুটির শেষে ঢাকা শহর আবার গরম হতে শুরু করলো। মানুষেরা কাজে আর ছাত্ররা ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে। পোলাপানের হাউকাউ দেখতে ভালই লাগে পিস্টনের। কাউরে চেনে আবার
সূর্যসেন হলের এই রুমটায় থাকতাম আমি আর ডালিম। অনেকদিন একসাথে এক বিছানায় ঘুমিয়েছি আমরা। বেডটা এত চিপা ছিল, সেটাই দুজন মানুষ কেমন করে ঘুমাতাম ভাবলে এখন খুব
#এক যেদিন প্রথম কাজ খুঁজতে গেলাম, লোকটা কাজ দিয়ে আমাকে সামনের ফুটপাথটা ঝাড়ু দিতে বলল। ঝাড়ু দিয়ে ঠেলে মানুষের ফেলে যাওয়া সিগারেটের লেজ, চুইংগামের কভার এক জায়গায়
25Oct
সন্ধ্যার পর বাইট্টা আর নুলা সোহরোওয়ার্দী উদ্যান থেকে পিস্তল ঠেকিয়ে স্টেনগান ওয়ালা এক কনস্টেবলকে উঠিয়ে নিয়ে এলো চোখ বেঁধে। পুলিশ বেচারা ভয়ে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেললো। ভেবেছে তার
টুনি শুধু পড়াশুনায় ভাল না, মানুষ হিসাবেও। গ্রামের সবার প্রিয় মানুষ। চঞ্চলা হরিণীর মত ঘুরে বেড়ায় গাঁ এর এমাথা থেকে ওমাথায়। কার কোথায় কি সমস্যা, কে নাম
শুধু মনে আছে সবাই সব সময় সাধারণ শার্টপ্যান্ট পরে আসে কিন্তু কামাল মাঝে মাঝে স্যুট-টাই পরে আসতো ইউনিভার্সিটিতে। ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক ছিল না। প্লেনে প্রথম ওঠার অভিজ্ঞতা
রাত মাত্র আটটা বাজে। দিনের বেলার সরগরম ক্যাম্পাস সন্ধ্যা নামলে কেমন সুনসান হয়ে যায়, না দেখলে বিশ্বাস হবে না। টি,এস,সি এলাকা জীবন্ত থাকলেও কলা ভবনের পেছন দিকটা
চোতরা পাতা যার আরেক নাম বিছুটি পাতা চেনে না এমন মানুষ মনে হয় কম আছে। ছোট বেলায় আমাদের বন্ধুদের অনেকেই হাতের ভিতর চোতরা পাতা রেখে কারো সাথে
পথ কলি আর পথের কুকুরের বন্ধুত্ব – কি অদ্ভুত ব্যাপার। রাস্তার দুই ভিন্ন প্রজাতির ভিতর এই নিবিড় বন্ধুত্ব এর রহস্য খুঁজে বের করেছে Sam Edmonds নামের অনুসন্ধিৎসু
– হ্যালো – হ্যাঁ, বল – বল দেখি, আমি এখন কোথায় ! – আর কোথায় এই সন্ধ্যা বেলায়। গাড়িতে। বাসায় ফিরছো। – না, এখন সকাল সাতটা। একটু
আগের ইতিহাস না জানলে আজকের নম্র,ভদ্র জাপানীদের দেখে কেউ বিশ্বাস করবে না দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় এই জাত কেমন শক্তিশালী হিংস্র দানবের মত ছিল। তেমন না হলে কি
প্রেসিডেন্ট বুশ সি,আই,এর ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে ইরাক আক্রমন করে। ইরাক তছনছ করে সাদ্দাম হোসেনকে ধরে ফেলার পরও সন্দেহ ছিল – এটা কি আসোলেই সাদ্দাম হোসেন,
১. দাওয়াত খেতে তো ভালই লাগে। মুফতে ভাল খাবার খাওয়া যায়। বাসার এক রকম রান্না আর কত ভাল লাগে ! প্রবাসের ব্যাচেলর জীবনের গল্প। যারা দাওয়াত খাওয়াতো,
বছর আটেক আগের কথা। নর্দার্ন ব্যুলেভার্ড আর থার্টি সেকেন্ড এভিনিউর মাঝে থাকি। বাচ্চারাও এখন থেকে আট বছরের ছোট তখন। প্রতিদিন ওদের হাত ধরে স্কুলে নিয়ে যাই আবার
রোজার মাস। ভার্সিটিতে ছুটি চলছে। হলের বেশীর ভাগ পোলাপান দেশের বাড়িতে চলে গেছে। শুধু ঢাকার লোকাল আর বাইরের অল্প কয়টা দুষ্টু পোলাপান কখনোই হল ছেড়ে যায় না।
~ এক ~ সকালে স্কুলে যাবার পথে, বিকেলে বাসায় ফেরার সময় একই ভাবে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে ছেলেটা। স্কুলে থেকে ফিরে খেয়ে দেয়ে কোচিং এ যেতে হয়
তাপস আর মিতার কথা মনে হলে কত পুরনো মধুর স্মৃতি মনে পড়ে যায়। তখন নিজেরই পেট ফেটে হাসি হাসে। কত্ত পাগল ছিলাম আমরা ! ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে জীবনে
১. অনেক কষ্টে চুমকিকে রাজি করালো মাহিন তার সাথে চাইনিজে যেতে। হুড তোলা রিকশায় বসতে গিয়ে গায়ে গা যেন না ছোঁয় সেদিকে মাহিনের খেয়াল বেশী। পাবলিক লাইব্রেরি
পাকিস্তানে এক সময় নিজেদের সামাজিক মানদণ্ডের তারতম্য বুঝাতে মানুষের ভিতর বিলাতের বিশুদ্ধ উচ্চারণের ইংরেজী কিংবা আমেরিকান উচ্চারণে ইংরেজী বলতে পারার চর্চা আয়ত্ব করার প্রতিযোগিতা ছিল। এমন চর্চা
পৃথিবীর পাঁচটা কম্যুনিষ্ট দেশের ভিতর ভিয়েতনাম একটা। প্রথমে ফ্রান্স ,তারপর জাপান এরপর আমেরিকার পোষ্য দক্ষিন ভিয়েতনাম এবং আমেরিকার সাথে দুই যুগ ধরে যুদ্ধ করে উত্তরের জয় হয়ে
রান্না কিছুই পারি না। তবুও ইচ্ছা হল নিজে রান্না করে খাওয়ায়ে সবাইকে সারপ্রাইজ দিব। ভুনা খিচুড়ি আমার খুব প্রিয় খাবার। খেতে ভাল লাগে কিন্তু কখনো নিজে রাঁধি
এসিডে দগ্ধ হয়ে বেঁচে যাওয়া রেশমা কোরেশী ফ্যাশন শো র্যাম্পের মডেল হয়ে সবার মন জয় করে নিল। নিউইয়র্ক বেইজড বিখ্যাত প্রডাকশন কোম্পানী FTl Moda র আয়োজিত ফ্যাশন
পুলিশ খুন করে ভয়ে সেঁদিয়ে গেলো পিস্টন। বস্তিতে ফিরে এসেও তার বুকের ধুকপুকানি কমে না। বাইট্টাকে কিল ঘুষি মেরে নাস্তানাবুদ করে ফেললো। বলে – অই হারামজাদা, তরে
মিনার আর আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ব্যাচের হলেও ভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ছিলাম। ক্যাম্পাসের চেনা মুখ কিন্তু কখনো কথা হয় নাই। ১৯৮৭ সালের কথা। আমি তখন একটা প্রাইভেট ব্যাঙ্কে
মগবাজার মোড়ের সাথে আমার যে কত মধুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে, সে সব কথা বলে শেষ করা যাবে না। ১৯৭৭ থেকে আমরা মগবাজার মোড়ের বাসায় থাকা শুরু করি।
রেঁস্তোরায় খেয়ে ওয়েটারকে ভাল বকশিস দেয়া কিংবা কাউকে দিয়ে কিছু করিয়ে নিয়ে তাকে খুশী করে দেয়ার প্রবনতা অন্তত: আমাদের জাতির নাই | আগের দিনে যখন বনেদিয়ানা ছিল
নারীর স্বাধীনতার সময়কাল কখন আমি ঠিক জানিনা। আদৌ কখনো আছে কিনা, সন্দেহ আছে। পুরুষ জাতিও পুরোপুরি স্বাধীন নয়। জীবনের মাত্র অল্প কয়টা বছর তারা স্বাধীন থাকে –
সূর্যসেন হলের টোকাই জুলহাস। হলের ডাকসাইটে ছাত্রদের ফুট ফরমাশ খাটে। তারা শুধু ছাত্র তো নয়। কেউ ছাত্র নেতা। কেউ বা মাস্তান। ওনারা কেউ ডাইনিং কিংবা ক্যাফেতে গিয়ে
আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টি এই বিশাল দুনিয়ায় খুব কম দেশ আছে যেখানে ইংরেজ জাত বাম হাত ঢুকিয়ে দিয়ে সেই দেশের আদিবাসীদের এক ঘরে করে দিয়ে নিজেদের আগ্রাসন প্রতিষ্ঠা
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ভাইবারে খাইরুলের টেকষ্ট মেসেজ এসেছে। ওর ডাক নাম অরু। জানিয়েছে আমাদের আরেক বন্ধু বাদল নিউইয়র্কে আসবে বেইজিং থেকে সতের তারিখে। আমি যেন
বইমেলায় প্রতিদিন কত নতুন বই বের হয়। রঙচঙে সুন্দর কভার। সুন্দর নাম। পিছনের পাতায় মুখে হাত দিয়ে পৌজ দেয়া লেখকের ভাবুক ছবি। খবরের কাগজে এসব দেখতে দেখতে
সাউদিয়া এয়ারের টিকেট সবচেয়ে সস্তায় পেলাম। সেটাই কিনলাম। আগের রাতে ফাইনাল আড্ডা মেরে শাহবাগ থেকে বাসায় ফিরছিলাম আমি আর সোহেল। অনেক রাত তখন। বারোটা তো হবেই। লালমাটিয়ার
মাঝে মাঝে নিজের কথা ভেবে হতাশ হই। হতাশ হই কারণ জগত সংসারের জন্য কোন অবদান রেখে যেতে পারলাম না। আমাকে মনে রাখার মত কোন স্মৃতিও নাই। ‘পারলাম
যুগে যুগে পৃথিবীর বড় বড় রাজনৈতিক নেতা নিজ নিজ দেশের প্রতি তাদের অবদান ছাড়াও বিখ্যাত হয়ছেন তাদের ব্যাতিক্রমধর্মীপোষাকের জন্য। ইতিহাসে কালজয়ী সব জন নেতাদের দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন
সেদিন ছিল মাষ্টার্সএর শেষ দিনের ক্লাস। শেষ দিনের শেষ ক্লাসটা ছিল কুদ্দুস স্যারের। এই ক্লাসটা শেষ হলে আর কোন ক্লাস করতে হবে না। বাকী থাকবে ফাইনাল
– এই শোন না, একটা ভুল হয়ে গেছে। বাসায় ফেরার সময় দুধ আর কলা কিনে আনতে ভুলে গেছি একদম। গাড়িটা নিয়ে যাও না একটু। চৌরাস্তার দোকানটা টুয়েন্টি
১. মাহিন ধেই ধেই করে নাচছে। আনন্দ আর ধরছে না। এক বছর ধরে কুর্চি’র সাথে আড়ি ছিল। এতদিন পর আজ তার মান ভেঙ্গেছে। না,সে নয়।মেয়েটাই রেগেমেগে আড়ি
১৯৬০ সনের ৯ই অক্টোবরে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে আমার জন্ম হয়। সেদিন সেই উপকূলীয় দ্বীপে ভয়ঙ্কর জলোচ্ছ্বাস ও তুফান হয়েছিলো। তাই গ্রামের আত্মীয়রা আমাকে মজা করে তুফাইন্যা
জন্মের বিচ্ছু পোলা সে। কালী মন্দিরের কাছে বাসা থেকে কখনো হেঁটে কখনো রিকসায় চড়ে কলেজে আসত দুলাল। আমি আসতাম ছয় নম্বর বাসে চড়ে। আট আনা ভাড়া ছিল।
আজ আকাশের মুখ কালো নয়। ঝকঝকে রোদ উঠেছে। আলোয় ঝলমল করছে চারিদিক। ডিসেম্বর মাসে এমন দৃশ্য বিরল। চোখ খুলে বাইরে তাকিয়ে এমন আলো দেখলে মন ভাল না
আমি সেই আমলের ঢাকা শহরের মানুষ হলেও অন্য বন্ধুদের মতো আমাদের বাসায় ডিসিপ্লিন, কেয়ার এসবের কিছুই ছিল না। বরং বাসায় ছোটদের উপর মাতবরি করার মানুষের অভাব ছিল
ফার্স্ট ইয়ারে বাসা ছেড়ে হলে থাকতে আসার পর সব কিছু ভাল লাগছিলো শুধু খাওয়ার কষ্ট ছাড়া। শুরুতে থাকার জায়গা পেলাম গণভবনে। মানে ডাইনিং হলের পাশে একটা হলরুমে
আজ মা দিবস। নূপুর তার একমাত্র শিশু কন্যা নিধিকে সাথে নিয়ে অফিসে এসেছে। আর কোন উপায় ছিল না।মা দিবস উপলক্ষে ডে কেয়ার সেন্টার বন্ধ।
ব্রিটিশ ভারতে জন্ম নিয়েছে দময়ন্তী গুপ্তা। পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দেশ বিভক্তি হয় এই ব্রিটিশ ভারতে। ১৯৪৭ সালে ইংরেজরা শেষ পর্যন্ত ভারত ছাড়ল। তবে ছাড়ার আগে ভারতকে
জব্বার সাহেব খুব পরহেজগার মানুষ। চার বার হজ্ব পালন করেছেন। তার দুইজন স্ত্রী আছে। বড় স্ত্রী দেশে থাকে। ছোট স্ত্রী তার সাথে আমেরিকায় থাকে। তিনি দুইটা পোলট্রি
You’ve gotta dance like there’s nobody watching, Love like you’ll never be hurt, sing like there’s nobody listening, and live like it’s heaven on earth. Only once