#উত্থান১৩ – Rise of a Thug

ট্রলারে শেঠের আতিথেয়তা নিয়ে পিস্টন ভুলতে চাইলো মারদাঙ্গা ইংরেজী সিনেমার মত আজ সারাদিনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি। সেখানে অস্ত্রধারী পাহারাদার ছাড়াও আছে শেঠের নিজস্ব ডাক্তার। তার জন্য বরাদ্দ কেবিনে এসে পিস্টন বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে মাত্র। ডাক্তার এসে তার ক্ষতগুলি পরীক্ষা করলো। পুরনো ব্যান্ডেজ বদলে নতুন করে ড্রেসিং করে দিয়ে বিদায় হল।

চিৎ হয়ে শুয়ে থেকে কেবিনের নিচু ছাদের দিকে তাকিয়ে ভাবতে শুরু করলো পিস্টন। এটা তার পুরনো অভ্যাস । ঘরে শুধু বেড সাইড ল্যাম্প জ্বালানো। তাই টের পেলো না। কিন্তু নাকে পারফিউমের গন্ধ লাগায় ভ্রু কুঁচকে গেল। মাথা ঘুরিয়ে তাকাতে দেখে রুমের ভিতর সুন্দরী এক নারী ঢুকে পড়েছে।

এ কি করে সম্ভব ! কুন্তি এখানে কোত্থেকে এলো ! নাকি ভুল দেখছে সে !
ভাল করে তাকাল। উঁহু, দেখতে অনেক মিল থাকলেও এ যে কুন্তি না। তাই জিজ্ঞেস করে – আপনি কে, কাকে খুঁজছেন ?

আপনাকেই – বলে পাশে এসে বসলো সুন্দরী নারী।

– আমার নাম নীরা, পিস্টন সাহেব। শুনেছি আপনি নাকি ভয়ঙ্কর মানুষ। কিন্তু দেখে তো মনে হচ্ছে একটা গোবেচারা বালক। আসলেই কি আপনি ভয়ঙ্কর ?

পিস্টন কি উত্তর দেবে খুঁজে পাচ্ছে না। কুন্তি ছাড়া আর কোন নারীর সাথে গল্প করার কোন অভিজ্ঞতা তার জীবনে নাই। তাই হাবলার মত শুধু হাসল। কিন্তু তখনো বুঝছে না ইনি তার ঘরে কেন এসেছে।
নীরা কথা বলছে। একাই বলছে।

– শেঠজী আমাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। নতুন জীবন দিয়েছে। নিরাপত্তা দিয়েছে। উনি ডেকে পাঠালে আমি ছুটে আসি। জীবন দিয়েও ওনার ঋণ শোধ করা হবে না। উনি আমাকে পাঠিয়েছে তার মেহমানের সেবা করতে।
তারপর বলে উঠে – আচ্ছা, আমি কি একাই কথা বলে যাব নাকি আপনি কিছু বলবেন, পিস্টন সাহেব !

তবুও পিস্টন কথা খুঁজে পাচ্ছে না।

ওকে ফাইন। তাইলে বাতি নিভিয়ে দেই। – বলে নীরা ল্যাম্পটা অফ করে পিস্টনের গায়ের উপর এলিয়ে পড়লো।

*
*
*

নীরার সান্নিধ্য পেয়ে সুখের সাগরে ডূবে যাচ্ছে পিস্টন। চোখে ঘুম নেমে আসছে। হটাৎ মনে হল, তাদের ট্রলারটা যেন কিছুতে ধাক্কা খেয়ে কেঁপে উঠলো। নাকি অন্য কোন লঞ্চ এসে ধাক্কা দিলো ! ঘুম ছুটে গেল চোখ থেকে। তখনই হইচইটা শুনতে পেলো। মনে হল অনেক মানুষ একসাথে চিৎকার করছে। মাঝ নদীতে এমন হবে কি করে ! সে হয়ত সারাদিনের ধকলের পর দুঃস্বপ্ন দেখছে। ঠিক তখুনি তার কেবিনের দরজায় কেউ ধাক্কা দিল।
তাকে ডাকছে – ভাই উঠেন, ডাকাত পড়ছে। তাড়াতাড়ি উঠেন।

বলে কি ! এখানেও ঝামেলা ! গুলি খাওয়া পা’টা এখনো ব্যথায় জমে আছে। তবুও তাকে জড়িয়ে ধরা নীরার হাত সরিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে প্যান্ট পড়লো পিস্টন।

দরজা খুলতেই পয়লা কারো বাড়িয়ে দেয়া হাত থেকে হাতে নিতে হল একটা শটগান আর এক বাক্স গুলি। তারপর মুখটা দেখল। শেঠের লোক।

বলে – মাছের ট্রলার ভেবে আমাদের ট্রলার ঘিরে ফেলেছে জলদস্যুরা। চারটা নৌকায় অনেক কজন মানুষ আছে। চোরের উপর বাটপারি করন ভাল না, এইটা হ্যাগোরে বুঝায়া দিতে হইবো। শেঠ তৈয়ার হইয়া আপ্নের লেইগা বইসা আছে। লন যাই।

অন্ধকারে গা বাঁচিয়ে শেঠের কেবিনে এলো পিস্টন। দেখে শেঠ সাদা লুঙ্গির বদলে কালো ড্রেস পরে আছে। মাথায় একটা কাউবয় হ্যাট। হাতে একটা উজি সাব মেশিনগান। তার প্রিয় জিনিস।

পিস্টনকে দেখে বলে – দুঃখিত ভাই, তোমারে ডিস্টাব দিতে হইলো। একটা ভেজাল হয়া গেছে। এখন গা বাঁচাইতে হইবো। ডাকাইত পরসে। অগোরে পয়লা চইলা যাইতে কমু। না গেলে মাইরা ফালান ছাড়া আর কুনু উপায় থাকবো না। বুঝলা !

পিস্টন মনে মনে বলে, আবার খুন খারাবি ! আর কত !
মুখে বলে – তাতো অবশ্যই।

*
*
*

ঘুটঘুটে অন্ধকার চারিদিকে। নিকষ কালো পানি। চারিদিকে চোখ মেলে তাকিয়ে কুল দেখল না। বুঝল এত রাতে মাঝ নদীতে যুদ্ধ হয়ে গেলেও কেউ টের পাবে না। এমন সুযোগই খুঁজে বেড়ায় জলদস্যুর দল।

পিস্টন তাকিয়ে দেখে তাদের ট্রলারের পাশে চারটা বড় বড় নৌকা ভাসছে। অল্প অল্প দুলছে। চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলায় সারেং ট্রলার থামাতে বাধ্য হয়েছে। নৌকা গুলিতে অনেকগুলি মানুষ। সবার হাতে অস্ত্র আছে। এক নলা, দোনলা বন্দুক সব। বুঝল সেদিক থেকে তাদের অবস্থান ভাল। তাদের ট্রলারের ডেক বেশ উঁচুতে। লোকবল কম হলেও অস্ত্রের শক্তি বেশী। অটোমেটিক উইপন ছাড়াও তাদের সাথে বেশ কয়টা গ্রেনেড আছে। ছুঁড়ে মারলে ওগুলি ফেটে নৌকা ফুটো হয়ে ডুবে মরবে ডাকাতের দল।

শেঠ মেগাফোন হাতে নিয়ে এগিয়ে এল কথা বলতে। পিস্টন তাকে নিরস্ত করে নিজে হাতে নিলো ওটা। তারপর সুইচ অন্য করে ডাকাতদের উদ্দেশ্যে বলে – ভাইয়েরা তোমরা ভুল জায়গায় হাত দিছো। এইটা কুনো মাছের ট্রলার না। এইখানে মাছ নাই। টেকা পয়সা নাই। সোনা দানাও নাই। এখানে আমরা যারা আছি, তারা তোমাগো মতনই ডাকাইত। তয় তোমাগো চাইতে ম্যালা ভয়ঙ্কর ডাকাইত। আমাগো অস্ত্রের শক্তি তোমাগো চাইতে অনেক বেশী। তাই কই, ভালয় ভালয় কাইটা পড়। নইলে কিন্তু গ্রেনেড মাইরা সবগুলি নৌকা ডুবায়া দিমু অক্ষুনি।

ওরা বিশ্বাস করতে চাইল না। আঞ্চলিক ভাষায় কিছু বলে খিক খিক করে হেসে উঠল। তারপর দড়ি ছুঁড়ল ট্রলারের দিকে। ঠিক তখুনি একটা নৌকা লক্ষ করে শেঠের লোক গ্রেনেড ছুঁড়ে মারলো। নৌকার গলুইয়ে পড়ে সেটা বিকট শব্দ করে ফাটল। নৌকা থেকে ঝাঁপিয়ে পানিতে পড়লো ক’জন। এগিয়ে আসছে ট্রলারের দিকে। এবার শেঠ তার উজি তাক করে হাল্কা একটা ব্রাশ ফায়ার করলো। একজন ‘বাবারে’ বলে চিৎকার করে উঠলো। সাথে সাথে ট্রলারের দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করল নৌকা থেকে। পিস্টন তার শটগান লোড করল। শটগানের গুলির এফেক্ট মারাত্বক ধবংষাত্বক। যেদিকে ঢুকে বিরাট গর্ত করে বের হয়। নিশানা করে একে একে চারটা গুলি ছুঁড়ল সে। দুজন পড়ে গেল কলাগাছের মত।

ইঞ্জিন লাগানো নৌকা সব। এবার তারা পালানোর পাঁয়তারা শুরু করল। আরেকটা গ্রেনেড গিয়ে পড়ল দ্বিতীয় নৌকায়। এটি নৌকার তলা ফুটো করে দিল। গলগল করে পানি ঢুকছে তলা দিয়ে। ঘিরে থাকা অবস্থা থেকে সরে এল নৌকা গুলি। ফাঁকা পেয়ে ট্রলারের সারেং তার ইঞ্জিনের গতি বাড়াল। সাঁই সাঁই করে সেটা ছুটতে শুরু করলো। পেছনে তাকিয়ে দেখে নৌকাগুলি আর তাদের তাড়া করছে না। নিজেদের জান বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

যাক বাবা বাঁচা গেল এ যাত্রা।

ডেকে দুইজন পাহারায় থাকল। পিস্টন তার কেবিনে ফিরে এল। নীরা তখনো বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। তারপাশে চুপটি করে শুয়ে পড়ল সে।

*
*
*

ভোরের দিকে মনপুরায় ভিড়ল ট্রলার। কাক ভোর। ঘাটে না গিয়ে পাশে ভিড়লো। ইচ্ছা করল পাড়ে গিয়ে এক কাপ গরম চা খেতে।
রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এল। ঘাটে মানুষের অবয়ব দেখে বুঝতে চাইলো ওরা কারা। চোখ পিটপিট করে আধো অন্ধকারে পিস্টন ঘাটে অনেক পুলিশ দেখতে পেলো। চমকে গেল।
ব্যাপার কি, এই সময়ে এখানে এত পুলিশ কেন !

তারপর দেখে, দুইটা স্পিডবোট স্টার্ট নিলো। এবার সে আসল ঘটনা বুঝে ফেলেছে। পুলিশ খবর পেয়ে তাদের জন্যই অপেক্ষা করছে তীরে। নদীতে আর ঝামেলা করতে যায় নাই।

স্পিডবোট দুটো সাঁই সাঁই করে উড়ে আসতেছে। মুহূর্তে ট্রলারের পাশে চলে এলো। তারপর চোখ ধাঁধিয়ে দুপুরের রোদের মত ফ্লাডলাইট জ্বলে উঠলো। পিস্টন আড়চোখে তাকিয়ে দেখে স্পিডবোট থেকে ট্রলারের দিকে তাক করা আছে হাল্কা মেশিনগান। একবার গুলি করা শুরু করলে তাদের ট্রলারসুদ্ধ সবাই এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যাবে। বিপদ টের পেলো।

মেগাফানে পুলিশের ঘোষণা এলো – পালানোর চেষ্টা করে লাভ হবে না। চুপচাপ হাত তুলে যেন সবাই ডেকে দাঁড়িয়ে থাকে।

অন্ধকারমত একটা কোনে সরে দাঁড়ালো পিস্টন। লাইফ জ্যাকেট পরা স্টেনগান উঁচিয়ে ট্রলারে উঠে এলো কয়জন পুলিস। হাতের স্টেন ছাড়াও সবার কোমরে রিভলভার গোঁজা আছে।
পিস্টন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে – ধরা দিবে না সে।

তার পাশ ঘেঁষে চলে যাওয়ার সময় নিঃশব্দে পেছন থেকে গলা পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে ফেলল একজন এসআইএর। কয়েক সেকেন্ডে জ্ঞান হারালো সে। টেনে তাকে পিলারের আড়ালে নিয়ে এলো। তার গা থেকে লাইফ জ্যাকেট খুলে নিজের গায়ে চড়ালো। কোমর থেকে রিভলভার আর গুলি নিলো। জ্যাকেটের ওয়াটারপ্রুফ পকেটে ঢুকিয়ে নিলো। তারপর এসআইএর পকেট থেকে ওয়ালেটটা বের করে টাকাগুলি নিয়ে সেটা ফেলে নিঃশব্দে পানিতে নেমে গেলো। কেউ টের পেলো না।
মনে মনে অপরাধ বোধ করলো, শেঠকে ফেলে চলে আসার জন্য। কিন্তু এছাড়া আর তো কোন উপায় ছিল না।

শব্দ না করে সাঁতার কেটে ঘাট থেকে দূরে কূলে উঠে এলো পিস্টন। পূর্বাকাশে আলোর আভা পরিষ্কার হচ্ছে। সেই আলোয় সে দেখতে পেলো একটা মসজিদের মিনার। সেদিকে এগুলো। মাইকে ফজরের আজানের সুর শুনতে পেলো … আসসালা তু খাইরুম মিনান নাউম।

আজান শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। সে কোনদিন নামাজ পড়ে নাই। জানে না কেমন করে পড়তে হয়। এটাও জানে না সে কি আদৌ মুসলমান না হিন্দু।

মসজিদের কাছাকাছি এসে দেখে পাশের একটা টিনের ঘরে তালা দিচ্ছে লম্বা পাঞ্জাবী,মাথায় টুপি পরা সফেদ দাড়িওয়ালা এক হুজুর। কাছে গিয়ে তাঁকে পিস্টন বলে – হুজুর আমাকে বাঁচান। আমি গুনাহগার বান্দা।

*
*
*

ইনি মনপুরা ঘাটের মসজিদের ইমাম। মৌলুভী মোহাম্মদ এন্তাজ আলী। পিস্টনের ডাক শুনে ঘুরে দাঁড়ালেন। তাকিয়ে ভিজা কাপড়ে তাকে দেখেই বুঝলেন এই মানুষ মহাবিপদে আছে। কিছু না বলে ঘরের তালা খুললেন। ঘরে ঢুকে একটা বাতি জ্বালালেন। তারপর পিস্টনের দিকে ফিরে বলে – জ্বনাব, আপনি কাপড় বদলে তৈরি হয়ে নেন। আমার সাথে মসজিদে যাবেন। একসাথে নামাজ পড়ব। তারপর আপনার গল্প শুনবো।

– হুজুর, পুলিশ আমাকে খুঁজতেছে। আমি পলাতক আসামী। আমাকে সাহায্য করেন। আমি সেই কথা আজীবন মনে রাখবো। আমার নাম পিস্টন।

নামটা শুনে হুজুর একটু কেঁপে গেল। সেটা বুঝতে না দিয়ে মুখে বলে – ঠিক আছে। কোন সমস্যা নাই। আল্লাহর ঘরে সবাই সমান। নামাজের পর না হয় সব শুনব।

– আমি যে নামাজ পড়তে পারি না। কোনদিন পড়ি নাই।

এবার ইমাম সাহেব কথা না বলে ঘরের ভিতর থেকে নিজের লুঙ্গি, পাঞ্জাবী, টুপি বের করে তার হাতে দিয়ে ইশারা করলেন পরে নিতে। পিস্টন কাপড়গুলি পরল। লুকিয়ে রিভলভারটা কোমরে গুজলো। তারপর ইমাম সাহেবের সামনে এলো।
লুঙ্গিটা বেশী নামিয়ে পরা দেখে নিজের পরনের লুঙ্গির দিকে ইশারা করে বললেন – টাকনুর উপর পড়তে হবে। এটা সুন্নত।

তারপর পিস্টনকে সাথে করে মসজিদে এলেন। বললেন – আমাকে অনুসরণ করুন। তাহলেই হবে। পিস্টন হুজুরের দেখাদেখি অজু করলো। এরপর নামাজে দাঁড়ালো হুজুরের ঠিক পেছনে প্রথম কাতারে।

ফজরের জামাতে বেশী মানুষ আসে না। এক কাতার মানুষ হয় নাই। ঘুম চোখে এতো ভোরে কেউ কারো দিকে তাকায় না। অল্প কজন মুসুল্লি নামাজ শেষ করে যে যার মত চলে গেল। শেষে বের হল ইমাম সাহেব ও পিস্টন। লম্বা পাঞ্জাবী লুঙ্গি আর টুপিতে পিস্টনকে দেখে হুট করে কারো চেনার উপায় নাই। মসজিদ থেকে বের হতে দেখে দুজন পুলিশ এগিয়ে আসছে। হুজুরকে দেখে একটা লম্বা সালাম দিল। তারপর জিজ্ঞেস করলো – নতুন অপরিচিত কাউকে এদিকে আসতে দেখেছে কিনা।

হুজুর শুধু বলল – আল্লাহর ঘর তো ধনী গরীব, রাজা উজির সবার জন্য। কে আসছে কে যাচ্ছে সেটা শুধু তিনিই দেখেন। আমি তো তার নাদান খেদমতগার মাত্র।

তারপর পুলিশকে জিজ্ঞেস করে – তো আপনি কি ফজরের নামাজ আদায় করেছেন, জ্বনাব ?

শুনে পুলিশ বিরক্ত হয়ে উল্টা পথে হাঁটা ধরল। সেটা দেখে এতক্ষণ মাথা নিচু করে অন্যদিকে ফিরে দাঁড়িয়ে থাকা পিস্টন হাঁপ ছেড়ে বাঁচল।

হুজুর ইশারা করে বলে – চলেন জ্বনাব, বাড়িতে চলেন। খানাপিনা করে আপনার গল্প শুনব।

– আমি একজন খুনের, একাধিক খুনের আসামী। আমি একজন খুনী। পিস্টন বলে।

শুনে হোঁচট খেলো হুজুর। তবুও বলে – আল্লাহ মালিক। তিনি পানাহ দিবেন। চিন্তা করবেন না। বলে বাড়ির দিকে হাঁটা ধরল। পিস্টন তাঁকে অনুসরণ করতে লাগলো।

চলবে …।

১লা মার্চ, ২০১৯