#উত্থান১২ – Rise of a Thug

পুলিশ পাহারায় সাইরেন বাজিয়ে এম্বুলেন্স ছুটছে আহত পিস্টনকে নিয়ে। ইংলিশ রোড থেকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে যাচ্ছে। গভীর রাত। ফাঁকা রাস্তা। এত রাতে গাড়ি ঘোড়া নাই বললেই চলে।

রাস্তার পাশের ফুটপাথে সংসার পাতা মানুষগুলি টায়ার পুড়িয়ে রান্না চড়িয়েছে। রাবার পোড়ার উৎকট গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে গেছে। সাইরেনের আওয়াজ শুনে ওরা হতচকিত নয়, অলস দৃষ্টি তুলে তাকাল শুধু – যেন কে মরতে বসেছে তাতে তাদের কিছু আসে যায় না।

এম্বুলেন্সের ভিতর স্ট্রেচারে হাত পা বাঁধা অবস্থায় শুয়ে ব্যথায় গোঙ্গাচ্ছে পিস্টন। সেদিকে ড্রাইভারের একটুও খেয়াল নাই। সে আর তার এসিস্ট্যান্ট মিলে হাসপাতালের কোন নার্সের চেহারা সুরত কেমন, আজ রাতে কার ডিউটি আছে এসব নিয়ে গবেষণা শুরু করলো। হাসি তামাশা শুরু করলো।

এত ব্যথার ভিতরেও পিস্টন ভাবতে শুরু করলো নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে। হাসপাতাল থেকে বের করে থানায় নিয়ে পুলিশ তাকে ভাল প্যাঁদানি দিবে তাতে সন্দেহ নাই। অনেকগুলি মার্ডারের দায় ভার তার উপর চাপাবে। এর থেকে বাঁচার উপায় কি, সেটা নিয়ে ভাবতে শুরু করলো।

কাউঠা আর শেঠ পালাতে পেরেছে ভেবে খুশী লাগলো। ওরা নিশ্চয়ই তাকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা করছে।

প্ল্যান আঁটছে কিভাবে কি করা যায়। তবে এবার মনে হয়, তার আর বাঁচার উপায় থাকবে না। মন্ত্রী শালা বেমালুম চেপে যাবে যে তাকে চেনে সে।

*
*
*
মনে পড়লো, গুলিস্তানের ওস্তাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ কয়টা কথা। ওস্তাদ সব সময় বলতো – মনে রাখবি, আমরা হইলাম ভারাইট্টা গুণ্ডা। আমাগো কুনো জাত নাই। সংসার নাই। ধর্ম নাই।দেশ নাই।দল নাই।নীতি নাই। আমরা টেকার বদলা কাম করি। যে বেশী পয়সা দিবো, হ্যার হইয়া যে কুনো কাম কইরা দিমু।যদি ভুলেও তর মনে কোন দুর্বলতা আইয়া পরে কারো উপ্রে, সেইদিন মনে করবি, কপালে খারাবি নাইমা আসন শুরু হইবো। দুনিয়াটা হইলো চোখ উলটানের জায়গা। বাঁটে পরলে সব্বাই চোখ উল্টায়।
ওস্তাদের কথাগুলি যে হাঁড়ে হাঁড়ে সত্য, পিস্টন তার আলামত পেতে শুরু করেছে বেশ কিছুদিন ধরে। মনের ভরসা তার – কাউঠা বাইরে আছে। শেঠও আছে। মন্ত্রী কিছু না করলেও এরা তাকে ভুলে থাকবে না।

মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো, এরপর সুযোগ পেলে সে যে খুনটা করবে আনন্দের সাথে সেইটা হইলো – ঐ মন্ত্রী শালার পুতরে। তার কোন ক্ষমা নাই। তার বাঁইচা থাকনের কুনো দরকার নাই।

এম্বুলেন্স হাসপাতালে পৌঁছুল। তাকে অনেকটা দায়সারাভাবে ভেতরে নিয়ে গেল আর্দালিরা। ওদের সাথে চোখাচুখি হলে সে শুধু বলতে পারলো – আমার নাম পিস্টন। সাহায্য করিস। আমি মনে রাখুম।

নামটা শুনে ওদের চোখ বড় হয়ে গেল। চিনতে পারলো। তাই মাথা নেড়ে সায় দিলো।

ডাক্তার এসে তাকে পরীক্ষা করলো। ক্ষত গুলি ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিলো। দুটো ইনজেকশন দিলো। অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই সেলাইন লাগিয়ে দিল। এরপর পিস্টন নিমিষে ঘুমিয়ে গেল। আর কিছু মনে নাই।

সকালে ঘুম ভাঙ্গলে দেখে একটা কেবিনের ভিতর হাত পায়ে বেড়ি লাগানো অবস্থায় শুয়ে আছে সে। পাশের টেবিলে নাস্তা রাখা। শুকনা রুটি আর ডাল। দেখে মনটা বিষিয়ে গেল। ক্ষুধায় পেট চিঁচিঁ করছে। অস্থির হয়ে সেই শুকনা রুটি খাওয়া শুরু করলো সে।

ভাবতে লাগলো আগের রাতের অপারেশনের কথা। সুখ পেলো শেঠের ঋণ শোধ করতে পেরেছে তাই। মহব্বতকে খালাস করে দিয়েছে। শেঠের পথের কাঁটা দুর হল। তার নিজের কোন রাজত্ব নাই। সে অবশ্য হিন্দি সিনেমা কিংবা শেঠের মত রাজত্ব পছন্দ করে না। তার যেমন আছে এমন স্বাধীন থাকতে বেশী সুখ লাগে। বুড়ি মা, কাউঠা,

নুলা এরাই তার আপনজন। আর কুন্তি (!)

রাতের আর্দালির একজন এসে রুমে ঢুকল। পাশে দাঁড়িয়ে খবর জানাল – তাকে নাকি এখান থেকে সোজা কোর্টে পাঠানো হবে। তারপর জিজ্ঞেস করলো কাউকে খবর দিতে হবে কিনা।

পিস্টন ফিসফিস করে বলল, কাঁটাবন বস্তিতে বুড়ি’র ঘরে গিয়ে খবরটা জানিয়ে আসতে। তাহলেই হবে। মাথা নেড়ে সায় জানিয়ে বের হয়ে গেল আর্দালিটা।

একটু পর এলো সদরঘাট থানার ওসি। এসেই লাঠি দিয়ে গায়ে একটা গুতা মারলো। তারপর বলে – তোর সব লম্ফঝম্ফ শ্যাষ রে। কোর্ট এর পারমিশন লমু। কোর্ট থেইকা তোরে থানায় নিমু রিমান্ডে। তারপর প্যাঁদানি দিয়া কেমনে তোর পেট থেকে সব কথা বাইর করতে হয়, সেইটা আমার জানা আছে।

থানা আর রিমান্ডের কথা শুনে পেট গুলিয়ে গেল পিস্টনের। সে জানে থানায় অমানুষিক মাইর মারে ঠোলারা। লাঠি দিয়ে ডলা দেয় কথা বাইর করতে।
আরও তিনজন পুলিশ এসে এলো। ওরা পিস্টনকে ধরে নিয়ে ওসির জিপের পেছনে তুলল। তার দুইপাশে গা ঘেঁষে বসে পড়লো পুলিশগুলি।

*
*
*
বুড়ির কানে পিস্টনের খবর যেতেই সে কাউঠাকে জানিয়ে দিলো। চুরির পোঁচ খেয়ে কাউঠা বস্তিতে শুয়ে আছে। ডাক্তার এসে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে গেছে কাটা জায়গাগুলি। ব্যথার ওষুধ খেয়ে সে অনেকটাই ভাল।

পিস্টনের খবরটা জেনে স্বস্তি পেলো কাউঠা। বেঁচে আছে এটাই এখন বড় কথা। সিদ্ধান্ত নিলো মন্ত্রীর সাথে দেখা করে সব জানাতে হবে। নইলে দেরী হয়ে যেতে পারে।
তখুনি উঠে সে একটা রিকসা নিয়ে মিন্টু রোডে গেল। মন্ত্রী খবর পেয়ে তাকে ডেকে পাঠাল। সব শুনে গম্ভীর হয়ে গেল।

শুধু বলল – থানার মাইর খাওয়া থেকে না হয় বাঁচাতে পারব আপাতত। কিন্তু জেলে যাওয়া আটকাতে পারব না। তবে জেলে গেলে যাক। পরে প্রেসিডেন্টকে দিয়ে তার অপরাধ মাফ করিয়ে বের করে আনব কিছুদিন পর।

– কিছুদিন মানে কদ্দিন পর ! কাউঠা জিজ্ঞেস করে।

– এই ধর, বছর খানেক পর।

– বলেন কি ! এদ্দিন ওস্তাদে জেলে বাঁচবো না। হের এন্টি গ্রুপ হ্যেরে কোপাইয়া মাইরা ফালাইবো।

– এর বেশী আমার আর কিছু করনের নাই , মন্ত্রী বলে।

কাউঠা বিমর্ষ চেহারা নিয়ে বের হয়ে এলো। ভাবল, ওস্তাদ ঠিকই কয়। এই হালাগো কুনো বুক পিঠ নাই। বাইরে এসে শেঠের একটা গোপন নাম্বারে ফোন করলো। শেঠের জন্য পিস্টনের খবরটা জানিয়ে রাখলো। জানিয়ে রাখল তার আজ সাহায্য লাগবে। তারপর সে বদুর বাসার দিকে রওনা দিলো।

বদুর বাসায় পৌঁছে বলে – বদু, তুই একটু কোর্টে লোক পাঠাইয়া খবর নে, কুন সময় ওস্তাদেরে কোর্ট থেইকা বাইরে আনবো। আমি এট্টু তর এহানে জিরাইয়া লই। বলে শুয়ে পড়লো চকির উপর।

– অকখন খবর লইতাছি। বলে বদু বের হয়ে গেল।

কাউঠা জানলো বিকেল তিনটের দিকে প্রিজন ভ্যানে করে পিস্টনকে কাশিমপুরে পাঠানো হবে। পুলিশ আপাতত রিমান্ড পায় নাই। হত্যার দায়ে জেলে পাঠাচ্ছে পিস্টনকে।

মাথায় বুদ্ধির খেইল শুরু হল কাউঠার। মাঝ রাস্তায় কেমন করে বোমা মেরে জেলের গাড়ি আটকায়ে পিস্টনকে উদ্ধার করা যায়, ভাবতে শুরু করলো। রিস্কি অপারেশন হলেও এছাড়া আর কোন উপায় নাই। শেঠের কাছ থেকে নির্দেশ এলো তার লোক এই অপারেশনে শুধু সাহায্য করবে না, পিস্টনকে নিয়ে গায়েব হয়ে যাবে।

*
*
*
বেলা দুইটার পর কাউঠা, নুলা, বদু এবং শেঠের লোকেরা পজিশন নিলো কোর্ট বিল্ডিঙের পাশে। অপারেশনের পয়েন্ট নির্ধারণ করে জায়গায় জায়গায় লোক বসালো চটের ব্যাগের ভিতর পেট্রল বোমা টিয়ার গ্যাস আর কাটা রাইফেল নিয়ে। প্রিজন ভ্যান কোর্ট বিল্ডিঙের সীমানা পেরিয়ে বড় রাস্তায় পড়লেই একশন শুরু করতে হবে। চিপা রাস্তার চেয়ে বড় রাস্তায় কাজ করে পালাতে সুবিধা। চারিদিকে রাস্তা আছে। একসাথে তিন চারটা পুলিশের গাড়ির মত গাড়ি ছাড়লে কোনটাকে ফলো করতে হবে কেউ কিছু বুঝবে না।

পৌনে তিনটায় বেরিয়ে এলো প্রিজন ভ্যানটা। গেইট থেকে কাউঠা ইশারা পেলো এই ভ্যানে পিস্টন আছে। গেইট দিয়ে বেরিয়ে চৌরাস্তায় পড়ল গাড়ি। সামনে একটা পুলিশের জীপ। ভেতরে দুইজন পুলিশ আছে। সাথে স্টেনগান।

গাড়ি এগুচ্ছে আস্তে আস্তে। রাস্তায় বেশ ভিড়। এই সময়ে পুলিশের গাড়িটার সামনে রিকশা ঢুকিয়ে পথ আটকে দিল বদু। একটু পর রিকসাটা কাত হয়ে পড়লো যাত্রী সহ। বদু নেমে আস্তে ধীরে রিকসা সোজা করার ভান করে টানা হ্যাঁচড়া করা শুরু করলো।

পুলিশের জীপের ড্রাইভার হর্ন দিচ্ছে ঘন ঘন। মুখ দিয়ে গালি বের হচ্ছে ব্রাশফায়ারের গতিতে – ঐ শুয়োরের বাচ্চা, তাড়াতাড়ি সরবি সামনের থেইকা, নাকি তরে সুদ্দা পিস্যা মাইরা যামু গা !

বদু তাতে বেশ বিচলিত হওয়ার ভাব নিয়ে জীপের দিকে তাকিয়ে হাত কচলালেও রিকসাটা উঠাচ্ছে না।

ড্রাইভার মাত্র আবার গালি দিতে মুখ খুলে শুধু বলতে পারলো – হুমুন্দির পুত, তরে… ঠিক তখুনি প্রথম টিয়ার গ্যাসের শেলটা ফাটল পুলিশের জীপের ভিতর। মুহূর্তে ধোঁয়ায় ভরে গেল। তারপর আরেকটা। আরেকটা।

ব্যস, আর কিছু দেখা যাচ্ছেনা। বিকট আওয়াজ করে কক্টেল ফাটল দুই তিনটা। তারপর শুরু হল চারিদিক থেকে ফাঁকা গুলির আওয়াজ। বদু রিকসা ফেলে দৌড়ে গিয়ে প্রিজন ভ্যানের ড্রাইভারের সিটে ছুঁড়ে দিল একটা টিয়ার গ্যাস।

কাউঠা এগিয়ে এসে গুলি করে উড়িয়ে দিল ভ্যানের গেইটের তালা। মুখের উপর রুমাল বাঁধা তার। সাথে আছে নুলা এবং শেঠের আরো চারজন লোক। সবার হাতে খোলা মারণাস্ত্র। কাউঠা বেশী সময় নিলো না। শেকল দিয়ে আটকানো পিস্টনকে শেকল্মুক্ত করলো গুলি করে তালা ভেঙ্গে। পাশে থাকা আরো কয়েকজন হাত বাড়ালো মুক্তি পেতে। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে শুধু পিস্টনকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে এল কাউঠা। হুবহু পুলিশের জীপের মত দেখতে একটা জীপ নিয়ে এগিয়ে এলো বদূ। পাশে পুলিশের ড্রেস পরা একজন বসে আছে স্টেনগান হাতে নিয়ে। মুহূর্তে সেই জীপে উঠে হারিয়ে গেল কাউঠা আর পিস্টন। সরে পড়লো বদু আর শেঠের লোকেরা।পাশ দিয়ে চলে গেল আরো দুইটা নকল পুলিশের জীপ।

টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়া সরে যেতে কাশতে কাশতে জীপ থেকে নেমে এলো পুলিশেরা। ওরা তখনো টের পায় নাই কি ঘটে গেছে। কাঁধের অস্ত্র তখনো কাঁধেই ঝুলছে তাদের। রাস্তার দুই পাশে জমে যাওয়া মানুষ দাঁড়িয়ে হাসতে শুরু করলো ওদের বেকুব অবস্থা দেখে।

ধাতস্থ হয়ে পুলিশ যখন প্রিজন ভ্যানের কাছে গেল, দেখে ভ্যানের গেইট ভাঙ্গা। ভেতরে অন্য আসামীরা শেকল বাঁধা রইলেও পিস্টন গায়েব হয়ে গেছে। ওদের চোখ কপালে উঠে গেল। ভেবে পাচ্ছে না কেমন করে কি হল ! কারা এসব করলো ! কারা টিয়ার গ্যাস আর গুলি ফুটালো ! কার এতো বড় সাহস যে পুলিশের হাত থেকে আসামী ছিনিয়ে নিয়ে গেল এভাবে দিন দুপুরে গোলাগুলি করে !

পুলিশের ওয়ারলেসে খবর পেয়ে আরও অনেক পুলিশের গাড়ী চলে এলো। রাস্তায় জ্যাম লেগে গেল। সবাই হতভম্ব হয়ে যখন বুঝার চেষ্টা করছে কেমন করে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল – পিস্টনের জীপ তখন ওয়াইজঘাটে গিয়ে থামল। ওদের নামিয়ে দিয়ে জীপ নিয়ে গায়েব হল ড্রাইভার মানে শেঠের মানুষ। ঘাটে ভেড়ানো বিদেশী কোম্পানির একটা সুন্দর স্পীড বোটে গিয়ে উঠলো কাউঠা আর পিস্টন। ওদের নিয়ে পানি ছিটিয়ে তুফান গতিতে ছুটতে শুরু করলো বোটটা।

*
*
*
ঘণ্টা খানেক চলার পর মাঝ নদীতে নোঙর করা একটা ইঞ্জিন লাগানো ট্রলারের পাশে এসে থামল স্পীড বোটটা। বাইরে থেকে দেখে মাছ ধরার সাধারণ ট্রলার মনে হলেও বোটে পা দিয়ে সিঁড়ি ভেঙ্গে নীচে নেমে ভেতরটা দেখে পিস্টন চমকে গেল। সাধারণ বোটের খোলশের অন্তরালে এটি একটা বিলাস বহুল বোট।

তাকে দেখে সাদা লুঙ্গী সাদা পাঞ্জাবী পরা শেঠ এগিয়ে এলো। বাঁধাই করা সোনার দাঁত বের করে বিশাল হাসি হেসে দুই হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসে বুকে জড়িয়ে ধরল পিস্টনকে ।

বলে – আহো ভাই আহো। এট্টূ কইলজার লগে কইলজাডা লাগায়া রাখো। বড় চিন্তায় আছিলাম। তুমারে দেইখা বড় শান্তি পাইলাম দিলে। এইবার তুমি একটু জিরায়া লও। আর কুনো টেনশন লিতে হইবো না। খালি মাল খাইবা আর ফুর্তি করবা। বাকি চিন্তা আমারে করতে দেও।

চলবে…।