দেবদূত

আচমকা কারো বুকের ভিতরে হৃদপিন্ড নামের ঘড়ির কাঁটা যখন থেমে যায়, মানুষ ডায়াল করে ইমার্জেন্সি নাম্বার ৯১১ তে। অপারেটর সবার আগে নক করে EMT = Emergency Medical Technician কে। মুহুর্তে এম্বুলেন্স নিয়ে সাইরেন বাজিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানার উদ্ধেশ্যে ছুটতে থাকে এই টেকনিশিয়ানরা। তারপর কল পায় পুলিশ। হার্ট এটাক করে মরার উপক্রম কোন মানুষের উপর প্রথম জীবন বাঁচানো চিকিৎসা সেবা দেয় এই টেকনিশিয়ানরা। তাই ওরা বলে “ I’m the one to restart your heart in the back of an ambulance. এম্বুলেন্সের পিছনে আমিই সেই মানুষ যে কিনা তোমার বন্ধ হয়ে থাকা হৃদপিন্ড পুনরায় চালু করি।”

মরনের মুখ থেকে বাঁচিয়ে ডাক্তারের কাছে পৌঁছে দেয়া এই দেবদূত মানুষগুলি কিন্তু ডাক্তার, নার্সদের মত অনেক বেতন পায় না। ভাল কোন বেনেফিট ও নাই। অন্য পেশার মত লোভনীয় কোন পেনশন নাই। ইম্রজেন্সী মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান বললেও আসলে এদের ধরে নেয়া হয় “এসেনশিয়াল হেল্প” হিসাবে। এই মানুষগুলি বিভিন্ন এম্বুলেন্স সংস্থায় ঘন্টা হিসাবে কাজ করে যা শুরু হয় মাত্র দশ ডলারে। অনেক বছরের মেয়াদে সেটা সর্বোচ্চ বিশ ডলারে উন্নীত হয়।

পুলিশ, ফায়ার, ডাক্তার, নার্স এর চাকুরিতে যেমন ভাল বেতন পায়, সুবিধা পায় তেমনি অবসর জীবনেও নিরাপদ থাকে লোভনীয় অবসর ভাতা নিয়ে। কিন্তু পৃথিবীর উন্নত দেশগুলির কেউই এখনো জীবন হুমকির মুখে পড়লে সেই মুহুর্তে সেটা রক্ষা করার দেবদূতদের জীবনব্যবস্থা ভাল, সহনীয় করার কার্যকর কোন উদ্যোগ নেয় নাই।

এই দেবদূতেরা যেন নীতি নির্ধারকদের সুনজরে আসে এই কামনা করি।

২০শে ডিসেম্বর, ২০১৫