ফাঁন্দে পড়িয়া …

মগবাজার মোড়ের সাথে আমার যে কত মধুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে, সে সব কথা বলে শেষ করা যাবে না। ১৯৭৭ থেকে আমরা মগবাজার মোড়ের বাসায় থাকা শুরু করি। হাইস্কুল শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়েছি সবে। ২০ নিউ ইস্কাটন রোডের বাসার দোতলায় থাকি আমরা। বাসাথেকে বের হয়ে মোড়ে দাঁড়ালে মনে হত পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছি।

আমাদের বাসার কোনায় ছিল চাইনিজ কালচারাল সেন্টার। বাসার বারান্দায় দাঁড়ালে ওদের সব কাজকর্ম দেখতে পেতাম। চোখাচোখি হলে হাত নাড়তাম। ওরাও জবাব দিত। ওদের ওখানে ইংরেজিতে সাবটাইটেল দেয়া মুভি দেখাত মাঝে মাঝে কোন অনুষ্ঠান হলে। আমাকে সবাই চিনত। তাই ভিতরে ঢুকে ঘুরে বেড়াতাম। মুভি দেখতাম। কেউ কিছু বলত না।

মোড়ের এক পাশে মসজিদ। তার সাথে মতিন চাচার পান সিগারেটের দোকান। সেখানে আবার আমার পার্মানেন্ট বাকীর খাতা ছিল। সিগারেট, কলা, রিকশা ভাড়া, মাঝে মাঝে দশ বিশ টাকা ক্যাশ – যা’ই নিতাম, সব শুধু খাতায় লেখা হত। শোধ আর করা হত না। এই চাচা আসলে আমার বাপের সব চাইতে বিশ্বস্ত মানুষ ছিলেন। তাই মনে হয়, নিশ্চিন্তে বাকী দিয়ে যেতেন।

চাচার দোকান ঘেষে রাস্তা নয়াটলার দিকে চলে গেছে। উলটা পাশে ছিল কুমিল্লা স্টোর। তারপাশে তিতাস আবাসিক হোটেল। সেই হোটেলের নীচে গলির ভিতর ছিল আমার খুব প্রিয় সাত টাকা প্লেটের বিরিয়ানীর দোকান। ওখানে দাঁড়ালে উলটা পাশে দেখা যেত ক্যাফে ডি তাজ রেঁস্তোরা। তাকালে দেখা যায় কালো মোটা হোঁদল কুতকুতের মত এক লোক দর দর করে ঘামছে আর খোলা তন্দুরের ভিতর শিক কাবাব শেকছে। পাশেই একটা টেবিল ফ্যান ভনভন করে ঘুরছে। রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা তাকা্লে একই দৃশ্য দেখা যেত। পাশেই একদম কোনায় জনতা ব্যাংক। সেই ব্যাংকে বাবা আমাকে নন চেকিং সেভিংস একাউন্ট করে কিছু টাকা জমা করে দিয়েছিল। ইঁদুরের মত খুঁটে খুঁটে উঠিয়ে নিয়ে অল্পদিনে সেই টাকা আমি শেষ করে দিয়েছিলাম ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর।

জনতা ব্যাংক থেকে দক্ষিনে গেলে ছিল ‘কসকর’ নামের ন্যায্য মূল্যের জিনিসের দোকান। তারপর ইসপাহানী কলোনী। সচিব পর্যায়ের মানুষেরা থাকত সেই কলোনীর সুন্দর বাড়িগুলিতে। আমার কলেজের বন্ধু শহীদ থাকত সেখানে। ওর বাবা ছিল তখন ঢাকা ডিভিশনের কমিশনার।

আমাদের গলি থেকে বের হলে মোড়ের অপরপাশে চাইনিজ রেঁস্তোরা ‘টাই কিং।’ কত খেয়েছি ওখানে চাঁদা তুলে। এভাবে আমি আজ এত বছর পরেও চোখ বন্ধ করে একের পর এক প্রতিটা দোকান পাটের নাম বলে দিতে পারব।

এই বাসায় থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছি নটরডেম কলেজ থেকে। কলেজ শেষে বাসায় ফিরে খেয়ে দেয়ে তৈরি হয়ে বসে থাকতাম। স্কুলের বন্ধু খোকন বাইসাইকেল চালিয়ে ঘামে দর দর করে ঘামতে ঘামতে বিকেল চারটার দিকে রামপুরা থেকে আমাদের গলিতে ঢুকে বাসার নীচে দাঁড়িয়ে আমাকে ডাক দিত। এক দৌঁড়ে নীচে নেমে ওর সাইকেলে চড়ে মতিঝিল কলোনিতে যেতাম আড্ডা দিতে। এতই প্রিয় ছিল সেই আড্ডা যে একদিন না গেলে যেন দম বন্ধ হয়ে মরে যাব এমন মনে হত। খোকন একটু খ্যাপা টাইপের ছেলে ছিল। আড্ডায় কারো সাথে কোন কথার অমিল হলে খেপে যেত। তখন আড্ডার মাঝখানে উঠে চলে আসত। ইচ্ছা না থাকলেও আমাকে ফিরতে হত। কারণ খোকনের সাইকেলই ছিল আমার বাহন। ওর মেজাজ বেশী খারাপ থাকলে সেদিন সে আমাকে আর বাসা পর্যন্ত দিয়ে আসত না। মৌচাকে নামিয়ে দিয়ে বলত, এবার হেঁটে চলে যা। আমি আর যেতে পারব না। কি আর করা ! মন খারাপ করে হেঁটে বাসায় যেতাম।

১৯৮৩ সালে বাবা তারপর ছোট ভাই আজাদ সমুদ্রে নেমে হারিয়ে গেলে আমাদের দীর্ঘদিনের ঠিকানা ২০ নিউ ইস্কাটন রোডের বাসার পাততাড়ি গুটিয়ে যায়। আমি তখন সুর্যসেন হলে থাকি। ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে বের হয়ে জীবনের প্রথম চাকুরির পোষ্টিং হয় ইংলিশ রোডে। ওটা একটা নতুন প্রাইভেট ব্যাংক ছিল। নতুন নতুন শাখা খুলছিল মাত্র। সবে মগবাজার টঙ্গী ডাইভারশন রোডে একটা শাখা খুলেছে। অফিসে জেনেছে আমি মগবাজারে কাটিয়েছি অনেক বছর। সব কিছু আমার চেনা। ব্যস, আমাকে ট্রান্সফার করে মগবাজারে পাঠিয়ে দিল। ওখানে যেতে পেরে আমিও মহা খুশী। যেন অনেকদিন পর নিজের ঘরে ফিরে এসেছি। সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান পাট, পাড়ার অধিবাসী সবাই পরিচিত। তাই সবাইকে ধরে এনে নিজের ব্যাংকে একাউন্ট খোলাতাম। অল্পদিনে ব্যাংকের সবার কাছে খুব সমীহ পেতে লাগলাম। কারণ এলাকার সব ব্যবসায়ীরা ব্যাংকে এসে সোজা আমার টেবিলে এসে বসে। আমি না থাকলে ওরা পরে আসবে বলে চলে যায়। নিজ দায়িত্বে কোন জামানত ছাড়া এলাকার ছোট দোকানদারদের ক্ষুদ্র ঋন এর ব্যবস্থা করে দিলাম। ওরা খুব খুশী। সব মিলিয়ে খুব ভাল দিন কাটছিল। বছর তিনেক সেই ব্রাঞ্চে কাজ করার পর বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে হটাৎ আমেরিকা চলে যাওয়ার ঝোঁক চাপল। একদিন চলেও গেলাম।

এই গল্প লেখার কারণ কিন্তু স্মৃতিচারণ নয়। কারণ একদম ভিন্ন। কেন এত কথা লিখেছি সেটা একটু পরেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আমেরিকা চলে যাওয়ার পর প্রথমবার দেশে বেড়াতে যেতে আমার অনেক বছর লেগে গেল। বৈধ কাগজপত্র জোগাড় করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। সময় লেগে গেছে এক যুগের মত।

সেই এক যুগ পর আমার অনেক প্রিয় শহরে যখন বেড়াতে গেলাম – ঢাকা আমার কাছে অনেক অচেনা লাগছিল। একা অস্থির বাউন্ডুলে আমি দেশে ফিরে এলাম চারজন হয়ে। ঢাকা এয়ারপোর্টে নেমে দেখি মশা মাছির মত মানুষ কিলবিল করছে। রাস্তায় বের হয়ে মনে হল স্বাধীন ঢাকা শহর অন্য কোন দেশের মানুষ যেন দখল করে নিয়েছে। এত অপরিচিত কিলবিল করা মানুষ দেখে আমার খুব অস্থির, বিরক্ত লাগছিল। একটুও ভাল লাগছিল না। মনে হচ্ছিল কম মানুষের ছিমছাম ঢাকাকে অনেক বহিরাগত মানুষ মিলে খুবলে খুবলে খেয়ে হাড্ডিসার কংকালে পরিনত করেছে। ঢাকার কোন রূপ যৌবন অবশিষ্ঠ নাই।

আমার বড়ভাই তখন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা। ইস্কাটনে নেভী চীফের বাসার উলটা দিকে সরকারী বাসায় থাকে। আমিও সেই বাসায় এসে উঠেছি। ইচ্ছা করছিল এক দৌঁড়ে মগবাজার মোড়ে গিয়ে ঘুরে আসতে। সবাই ‘না’ করল একা বের হতে। কি আর করা। ঢাকা শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো বাউন্ডুলে আমি গৃহবন্দী হয়ে বসে থাকি সারাদিন। কেউ সাথে নিয়ে বের হলে বের হই। নইলে ঘরে শুয়ে থাকি।

বন্ধু খোকন এল একদিন দেখা করতে। সে এখন নামকরা ডাক্তার। সুন্দর গাড়ি হাঁকিয়ে আমার সাথে দেখা করতে এসেছে। এসেই আমাকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে চলে এল। নিজেই ড্রাইভ করে। আমি খুব কমপ্লেইন করছিলাম ঢাকার এত মানুষ, এত ট্রাফিক জ্যাম দেখে। সে নির্বিকারভাবে বলে, এসব নিয়েই আমাদের থাকতে হয়। তুই অনেকদিন পরে এসেছিস তাই এমন মনে হচ্ছে। তাও কথা। মেনে নিলাম।

বেশ অনেকক্ষন ঘোরাঘুরি করে একসময় বাংলামটর হয়ে আমরা মগবাজার মোড়ে পৌঁছালাম।

খোকন বলে, তুই এখানে নেমে যা। একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে যা। আমার অন্য কাজ আছে । দেরী হয়ে যাবে তোকে নামাতে গেলে। তাছাড়া এটা তোর পুরনো জায়গা। সব তোর চেনা, তাইনা !

মনে মনে অনিচ্ছা থাকলেও লজ্জায় কিছু না বলে মুখে শুধু ‘হুঁ’ বলে নেমে গেলাম। খোকন তার গাড়ি নিয়ে মৌচাকের দিকে চলে গেল।

যেখানে নেমেছি তাকিয়ে দেখি সেই অতি পরিচিত মসজিদ দেখা যায়। কুমিল্লা স্টোরের ঠিক সামনে আমি। কিন্তু সেখানে কাউকে পরিচিত লাগল না। চাচার দোকানে গেলাম। জিজ্ঞেস করে জানলাম উনিও এখন নাই। কাল আসবে। পকেটে হাত দিয়ে মানিব্যাগ, মোবাইল ধরে রেখে এদিক ওদিক তাকালাম। অনেক রিকসা দাঁড়িয়ে আছে। আগের দিন হলে কিছু জিজ্ঞস করতাম না। যেটা পছন্দ হত, উঠে বসে বলতাম, যেখানে যাব নিয়ে যেতে। প্রতিবাদ করেও লাভ হত না। সেই এখন আমি বদলে গেছি। আগের মত নাই।
তাই খুব নরম গলায় জিজ্ঞেস করলাম , ‘ভাই, ইস্কাটন গার্ডেনে যাব। নিয়ে যাবেন ? ভাড়া যা বলবেন তাই দিব।’

সোজা মাথা নেড়ে না করে দিল। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলাম। কেউই পাত্তা দিল না।

অনেক পরে একজন জানাল, ‘এই পারে রিক্সা খুঁজেন কেন ? এই পার থেকে মৌচাকের দিকে যাইবো। আপনে ঐ পারে যান।’

হটাৎ মনে হল, তাইতো ! এই পার থেকে ঐ পারে রিক্সা তো যেতে পারবে না। আমাকে ওইপারে ক্যাফে ডি তাজের সামনে যেতে হবে রাস্তা পার হয়ে। এই রাস্তা পার হওয়ার ঘটনা লিখতে যেয়েই এত কিছু লিখতে হল। আমার জীবনের সে এক করুন ঘটনা। আমার কাছে করুন কিন্তু সবার কাছে খুব হাস্যরসের ঘটনা মনে হয়েছে।

রাস্তা পার হবার জন্য পা বাড়িয়েও বার বার পিছিয়ে আসছি। কারণ গাড়ি, রিকসা কেউই একবারের জন্য থেমে দাঁড়াচ্ছে না। যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। অবিরাম মিছিলের মত। ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে আলস্যভরে না থাকার মত। গাড়ি ঘোড়া যার যেমন খুশী যাচ্ছে। এর ভিতর চলন্ত গাড়ির বহরের ভিতর দিয়ে পিঁপড়ার মত অগনিত নারী পুরুষ রাস্তা পার হয়ে যাচ্ছে মাঝখানের উঁচু ব্যারিকেড টপকে অবলীলায়। আমি পা বাড়িয়েও পিছিয়ে চলে আসছি নিরাপদ নয় ভেবে। কেউ একটু থেমে দাঁড়াচ্ছে না আমাকে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে। তার উপর মাঝ রাস্তায় যে উঁচু ব্যারিকেড দেয়া আছে আমি কেমন করে ওটায় উঠব – এই চিন্তায় আমার পাগল হয়ে যাওয়ার দশা হয়েছে।

চুপচাপ দাঁড়িয়ে এদিক ওদিকে তাকিয়ে দেখছিলাম। আমাদের আগের বাসার কোনায় সেই চাইনিজ কালচারাল সেন্টার এর অনেক উঁচু দেয়াল ঘেরা হলুদ বিল্ডিংটা আর নাই। সেখানে একটা গ্যাস ফিলিং স্টেশন হয়েছে। আর সব একই রকম লাগছে। বিল্ডিঙগুলি অনেক উঁচু মনে হল। রাস্তা পার হতে না পারায় নিজের অসহায়ত্বের কথা মনে করে একবার হাসি আসে, আবার কান্না আসে। বাসায় ফোন করে ভাবীকে জিজ্ঞেস করলাম, বাসায় গাড়ি আছে কিনা। জানালো নাই। আমি কোথায় আছি জানালে পরে গাড়ি পাঠিয়ে দিবে বলল। কিন্তু সেটা আর জানালাম না লজ্জায়।

এবার আমি এক রিকশাওয়ালাকে অনুরোধ করলাম এভাবে – ভাই, আপনি কি কষ্ট করে আমাকে ঐ পারে পার করে দিবেন । তাহলে আপনি যত চাইবেন আমি ঠিক ততই দিব। বিশ্বাস না হলে টাকা আগেই দিয়ে দেই আপনাকে।

রিকশাওয়ালা বেশী টাকার কথা শুনওে খুশী না হয়ে অবাক চেহারা করে কিছুক্ষন আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে। তারপর বলে – কই থিকা আইসেন আপনে? ডাহা শহরে নোতুন নাহি ? কয়দিন অইল ?

নাহ, এই কথায় মগবাজারের আদি বাসিন্দা আমার একটুও মেজাজ খারাপ লাগে নাই। মনে হল আমি ঢাকা শহরে আসলেই নতুন মানুষ। তাই তার ভাব বুঝতে পারছি না। তাল মেলাতে পারছি না। রিকশাওয়ালার দয়া হল। বলে, উঠেন। বুক থেকে যেন বিরাট বোঝা নেমে গেল। ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলে উঠে বসলাম।

রিকসাওয়ালা বলে ‘আমি খালি রাস্তা পার কইরা দিমু। যা মনে কয় দিয়েন। দূরে যামু না কিন্তু।’

আমিতো অতটুকুই চেয়েছি শুধু।

উঠে বসার পর এক নিমিষে হাত তুলে চলন্ত সব গাড়ির সামনে দিয়ে সে আমাকে রাস্তার উলটা দিকে ক্যাফে ডী তাজের সামনে নিয়ে গেল। এক মিনিট ও লাগে নাই। কিন্তু আমার মনে হল যে্ন আমি ফুলসিরাতের সাঁকো পার হয়ে এলাম। রিকশা থেকে নামার আগে তাকিয়ে দেখি এখনো আগের মতই ক্যাফে ডি তাজের সামনে গনগনে আগুনে শিক কাবাব শেকছে একজন মানুষ। সে ঘামে দর দর করে ঘামছে। ঘটাং ঘটাং আওয়াজ করে টেবিল ফ্যান ঘুরছে পাশে। সব আগের মত আছে। শুধু আমিই যেন কেমন অচল পয়সা হয়ে গেছি এই শহরে। বিপদ থেকে আমাকে উদ্ধার করে আনার জন্য রিকশাওয়ালাকে চুপিসারে হাতের ভিতর একশ’ টাকার একটা নোট গুঁজে দিয়ে আমি আরেকটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে গেলাম।

বাসায় গিয়ে খোকনকে ফোন করে আমার অসহায়ত্বের গল্প বলে অনেক গালি গালাজ করলাম। সে তাতে একটুও রাগ না করে দুনিয়া কাঁপিয়ে হাসতে শুরু করল। বাসায় ভাবীকে জানালাম ঘটনাটা। ভাবীও হাসতে শুরু করল। তারপর ফোন করে দুনিয়া শুদ্ধ মানুষকে জানাল।

আমার মনে হল, কারো পৌষ মাস, কারো সর্বোনাশ। এমনই হয়।

৪ই ফেভ্রুয়ারী, ২০১৬