লেখারাম তুই পালিয়ে যা …

বইমেলায় প্রতিদিন কত নতুন বই বের হয়। রঙচঙে সুন্দর কভার। সুন্দর নাম। পিছনের পাতায় মুখে হাত দিয়ে পৌজ দেয়া লেখকের ভাবুক ছবি। খবরের কাগজে এসব দেখতে দেখতে আনমনা হয়ে গেলাম। ভাবছিলাম,ইস আমার যদি এমন একটা ছাপানো বই থাকতো। বইয়ের নাম যত্র্তত্র । উপরে বড় হরফে লেখকের নাম হিসাবে আমার নাম জ্বলজ্বল করত। তিন/চারশ পাতার দিনলিপি সংগ্রহ – এমন কিছু। পিছনের কভারে থুতনিতে হাত রেখে ভাবুক একটা ছবি আমার। তার নীচে পাঠক পরিচিতি। লেখা আছে – প্রবাসী লেখকের দিনলিপি নিয়ে বাজারে এল তাঁর প্রথম বইয়ের প্রথম সংস্করণ। বইমেলায় লেখক বসে আছে প্রকাশকের ষ্টলে।

পাঠকেরা তাঁর অটোগ্রাফ চাইছে। সেলফি তুলতে চাইছে। ভিতরে খুশীতে ডগমগ কিন্তু বাইরে মুখে গম্ভীর ভাব বজায় রেখে মার্কার কলম দিয়ে বইয়ের পাতায় অটগ্রাফ দিয়ে যাচ্ছে অনবরত। তারপর হটাত উঠে দাঁড়িয়ে জরুরী কাজ আছে এই বলে ক্ষমা প্রার্থনা করে মেলা থেকে বের হয়ে আসল। পিছন থেকে পত্রিকার সাংবাদিক বলছে, স্যার, শুনেছি আপনার প্রথম সংস্করণ প্রায় শেষ। দ্বিতীয় সংস্করণ কি এখুনি বের করবেন নাকি কিছুদিন সময় নেবেন? মুখে হাসি নিয়ে শুধু মাথা নেড়ে বিদায় নিল লেখক। এমন ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি টেরই পাই নাই।

ঘুমের ভিতর স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম লেখা নিয়ে।

দেখি আমি আমার লেখার পান্ডুলিপি নিয়ে দেখা করতে গিয়েছি আমার প্রিয় মানুষ আবদুল্লাহ আবু সাঈদের সাথে। আমি ওনার ছাত্র ছিলাম না। প্রবাসে পরিচয় হয়েছে বই মেলায়। ভাল লেগেছে ওনার কথাবার্তা। কিছু লেখাও পড়েছি ওনার। খুব উঁচুমানের মনে হয়েছে। আমার বন্ধু মাশুকের সরাসরি টিচার ছিল ঢাকা কলেজে। তাই ভাবলাম , স্যারকে আমার লেখাগুলি দেখাই। দেখি উনি কি মন্তব্য করেন। ফোন করে বিদেশে পরিচয়ের রেফারেন্স দিয়ে দেখা করতে চাইলাম। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র নিয়ে ভীষন ব্যস্থ থাকেন উনি। তবুও চিনতে পেরে পরদিন সময় দিলেন। যথাসময়ে একটা চামড়ার ফোল্ডারে নিজের লেখাগুলির কম্পিউটার প্রিন্ট আউট নিয়ে গেলাম। স্যার খুব হাসিমুখে আমার সাথে হ্যান্ডশেইক করে ওনার অফিসে বসালেন।

কুশল বিনিময়ের পর জিজ্ঞেস করলেন, আমি কি ওনার কাছে কোন কাজে এসেছি কিনা। তখন মিনমিন করে বললাম, আমি কিছু লেখা লিখেছি। যদি উনি একটু দেখে বলেন, কেমন হয়েছে। ছাপানো যাবে কিনা !। ওনার চোখ চকচক করে উঠল। বললেন,  তুমি লেখো নাকি, জানতাম নাতো! কই দেখি, কি লিখেছ।

আমি ফোল্ডারটা এগিয়ে দিলাম ওনার দিকে। উনি সেটা হাতে নিয়ে পাতা উল্টালেন। একটু পর মুখে হাসির রেখা দেখলাম। দেখে নিজের লেখার গর্বে নিজে ফুলতে শুরু করলাম। ভাবলাম ,স্যার ঠিক আমার লেখার প্রশংসা শুরু করবেন এক্ষুনি।শোনার জন্য প্রস্তুত হয়ে মুখে হাসি ধরে রেখে বসে রইলাম। কিছু বলছে না। এভাবে আর কতক্ষন হাসি ধরে রাখা যায় জোর করে। চাপা ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। একটু পর তাকিয়ে দেখি স্যার গম্ভীর হয়ে যাচ্ছেন। তারপর দেখি কপালের নীচে আর চোখের উপরে ওনার মোটা ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছে। এবার আমার হাসি উধাও হয়ে গেল। ভয় পেতে শুরু করলাম। নিশ্চয়ই এখন রেগে মেগে হাত থেকে আমার ফোল্ডার ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলে উঠবে, “আমার সাথে ফাজলামি করতে আসছ। এসব কি সাহিত্য নাকি চটি লিখেছ ? ভয়ে কাঁপুনি শুরু হল আমার। বাস্তবে স্যার বললেন আরো কঠিন কথা।

সদা হাসিমুখের স্যার সম্পূর্ন বিপরীত রূপ ধারণ করে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন , “ বাংলা কে পড়িয়েছে ?”

সাথে সাথে উত্তর দিলাম, “প্রাইমারী স্কুলে লুতু স্যার, হাইস্কুলে ঈব্রাহীম স্যার, কলেজে গরীব নেওয়াজ এবং মিয়া মোহাম্মদ আবদুল হামিদ স্যার।”

স্যার তখন বললেন , “আমি এদের সব কয়টাকে চিনি।”

শুনে আমার চোখ কপালে উঠল। সবাইকে উনি চেনে কেমন করে। লুতু স্যার তো হাতিয়াতে থাকে। জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করল। উনি মনে হয় সেটা বুঝেছেন। তাই নিজেই বলতে শুরু করলেন, “লুতু আমার ছাত্র ছিল। ইবরাহীমকেও কিছুদিন পড়িয়েছি। কিন্তু নটরডেমের গরীব নেওয়াজ তো খুব ভাল ষ্টূডেন্ট ছিল। বাংলা ভাল পারে। আর হামিদ সাহেব তো আমারও টিচার ছিল।তুমি কি আসলেই ওদের ছাত্র ছিলে নাকি চাপা মারতেসো?”

কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম, “আল্লাহর কসম, স্যার। আমি ওদের ছাত্র। আপনি ওদের ফোন করে জিজ্ঞেস করেন।”
শুনে স্যার বলে, “ লুতু, ঈব্রাহীম, হামিদ সাহেব মারা গেছেন। আমি কি কবরে ফোন করব নাকি বেটা?”একরকম খেপেই গেলেন।
বললাম, “স্যার আমার লেখার ভুলগুলি যদি একটু বলে দিতেন, খুব ভাল হত।”

উনি উত্তর দেন চোখ গরম করে, “ ভুল গুলি মানে কি ? সবই তো ভূল। বানান ঠিক নাই। ব্যাকরণ ঠিক নাই। যত্তসব ছাইপাঁশ । তোমাদের মত গজানো লেখাকদের কারণেই আজকাল বিরক্ত হয়ে আর কেউ বই কেনে না, পড়েও না। মাঝখান থেকে আমাদের বইগুলিও বিক্রি হতে চায় না। আরে বাবা, সবাই লেখক হয়ে গেলে পাঠক হবে কে ? আর আমরা কি তখন গান গাইতে শুরু করব নাকি? যাও এবার বিদায় হও আমার সামনে থেকে।”

একরকম বের করে দিলেন আমাকে ওনার অফিস থেকে। আমি ইতস্ততঃ করছিলাম দেখে এবার সত্যি রেগে গিয়ে উর্দুতে বলে উঠলেন, “আভি নিকাল যাও হিঁইয়াসে।”

উর্দু কেন বলল জিজ্ঞেস করতে ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে আমি দরজার সাথে খুব জোরে ধাক্কা খেলাম। আসলে ঘুমের ভিতর বেডসাইড টেবিলের সাথে মাথা ঠুকে ঘুম ছুটে গেল।

নড়ে চড়ে আবার ঘুমিয়ে গেলাম। স্বপ্ন আবার জোড়া লাগল। মনের ভিতর খুব দুঃখ নিয়ে রাস্তার পাশে বেঞ্চে বসে ভাবছিলাম – স্যার আমাকে এত অপমান করে তাড়িয়ে দিলেন। আমার লেখা কি এতই খারাপ নাকি! তাইলে বাজারে ভর্তি এতসব বই ছাপা হল কি করে যেসবের অনেকগুলির ভিতর ছাইপাঁশ ছাড়া ভাল কোন গল্পই নাই। তারপর মনে হল, আসলে স্যারের খুব দেমাগ হয়েছে।অনেক উপরে উঠে গেছে তো,তাই কাউকে মানুষ মনে করে না। অথচ আমি একজন আমেরিকান নাগরিক। এইজন্য হলেও তো স্যারের উচিৎ ছিল আমাকে একটু দাম দেয়া। কিন্তু পাত্তাই দিল না। আজব মানুষ।

হটাৎ মনে পড়ল সৈয়দ শামসুল হকের কথা। সব্যসাচী লেখক। দেশের অল্প ক’জন সত্যিকারের দামী লেখকের ভিতর উনি উপরের সারিতে আছেন।

আমার অসম্ভব প্রিয় এবং শ্রদ্ধাভাজন মানুষ। ফার্ষ্ট ইয়ারে পড়ার সময় ওনার “খেলারাম ,খেলে যা” উপন্যাস পড়ে ওনার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। সেই প্রেম আজ ও অম্লান আছে। নিউইয়র্কে নর্দার্ন বুলেভার্ডের এক স্কুলের মেলায় ওনার সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। মাঠের এক কোনায় দাঁড়িয়ে অনেক গল্প করেছি। ঝাল মুড়ি কিনে খাইয়েছি। ওনার কথা মনে পড়ায় শোকাতুর মন আনন্দে ভরে গেল। ভাবলাম ওনার সাথে দেখা করব। উনি রিয়েল স্মার্ট মানুষ। ঠিক আমার লেখা বুঝবে।

নিউইয়র্কে ফোন করে ওনার ঢাকার মোবাইল নাম্বার যোগাড় করলাম। কল দিয়ে পরিচয় দিলাম। কোথায় পরিচয় হয়েছে সেটাও বললাম । এবার চিনতে পারল। নিউইয়র্ক থেকে এসেছি শুনে একটু পাত্তা দিল। দেখা করতে চাইলাম। পরদিন সময় দিল। ওনার বাসায় যেতে বলল সকালে। ঠিকানা নিয়ে খুশী মনে ফোন রেখে দিলাম।

সারা রাত টেনশনে ভাল ঘুম হল না। ভোর হতেই উঠে রেডি হয়ে নাস্তা খেয়ে নিলাম। নিজের লেখার কাগজের ফোল্ডারটা উল্টে পালটে দেখলাম। মনে মনে ভাবলাম, উনি নিশ্চয়ই আমার এই চামড়ার ফোল্ডারটা দেখে পুলকিত হয়ে উল্টে পালটে দেখবেন। তেমন মনে হলে নিজে থেকেই ওটা ওনাকে গিফট করে দিব। এমন প্ল্যান করে ডিউটি ফ্রি শপ থেকে কেনা একটা শিভার্স রিগালের বোতল গিফট ব্যাগে ঢুকিয়ে হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। একটা রিকশা নিয়ে সোজা সেগুনবাগিচায় চলে গেলাম সকাল সকাল।

কড়া নাড়তেই নিজে এসে দরকা খুলে দিলেন। দেখে চিনতে পারলেন। অনেক প্রিয় লেখককে ওনার নিজের বাসায় ঘরোয়া কাপড়ে দেখে খুব সাধারণ চাপোষা মানুষ মনে হল। খুব ভারী গলায় কথা বলেন। নিজের ষ্টাডি রূমে নিয়ে বসালেন। ব্ল্যাক কফির কাপ থেকে ধোয়া উড়ছে। একটা হাভানা চুরুট ধরালেন। কফি আর চুরুটের গন্ধে ঘর মৌ মৌ করছে। আমি খাই কিনা জানতে চাইলে সবিনয়ে ‘না’ বলে দিলাম। তারপর আস্তে করে হুইস্কির বোতলের প্যাকেটটা ওনার পাশে রেখে দিলাম। খুশী হলেন। আমি জানি,উনি এই জিনিস খুব পছন্দ করেন। এই কথা সেই কথার পর জানতে চাইলেন, কিছু দরকার কিনা ওনার কাছে আমার। বলে ফেললাম, যদি উনি একটু দেখেন আমার লেখা কেমন হয়েছে। কই দেখি বলে চশমা নাকের আগায় ঝুলিয়ে হাত বাড়িয়ে আমার ফোল্ডারটা নিলেন। সত্যিই দেখি উনি ফোল্ডারটার দিকে লোভাতুর দৃষ্টি নিয়ে তাকাচ্ছেন। মনে মনে হাসলাম এই ভেবে যেন আমি তো আগেই এটা জানি। তারপর ফোল্ডারের ভিতরে দৃষ্টি দিলেন।

এবার আমি নড়েচড়ে বসলাম। বুকের ভিতর যেন কেউ ড্রাম পিটাচ্ছে এমন জোরে হার্টবিট হতে শুরু করল। কপাল বেয়ে চিকন ঘাম বের হতে শুরু করল। হটাত মনে হল আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ওনার কফির কাপে একটা চুমুক দিতে পারলে গলাটা একটু ভিজত। উনি খুব মনোযোগ দিয়ে দশ মিনিট ধরে পাতার পর পাতা উল্টে গেলেন। কিছু বলছেন না। একবার শুধু আমার দিকে তাকালেন। সেই দৃষ্টির অর্থ আমি বুঝি নাই। ইচ্ছা হল জিজ্ঞেস করি, “ গুরুজী, কেমন মনে হচ্ছে লেখা?” চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছে না। তাই চুপ করে বসে রইলাম।

এবার উনি মুখ তুলে আমার দিকে তাকালেন। কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলেন। জিজ্ঞেস করলেন আমি কত বছর ধরে দেশের বাইরে আছি। বললাম। এবার জিজ্ঞেস করলেন আমি প্রেসিডেন্ট এরশাদকে চিনি কিনা। বললাম ,অবশ্যই চিনি। স্বৈরাচার এরশাদ পতনের আন্দোলনের আমিও একজন সম্মুখভাগের সৈনিক ছিলাম। উনি সেই কথায় পাত্তা দিলেন না একটুও।

শুধু বললেন , “তুমি নিশ্চয়ই জান এরশাদ প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন প্রায়ই কবিতা লিখতো। পড়ে শোনাত।”

বললাম, “জ্বী জানি।”

উনি বললেন “এরশাদ তখন এত কবিতা লিখত, এখন কেন লেখে না?”

আমি কেমন করে জানব সেটা। আমার উত্তরের অপেক্ষা না করে নিজেই বললেন , “লেখে না। কারণ সে লিখতে পারে না। ভাড়াটে কবি দিয়ে লেখাতেন। এখন ক্ষমতা নাই। তাই কবিতাও নাই।”

তারপর বলেন, “তোমার লেখা পড়ে মনে হল আমি যেন এরশাদের প্রাণহীন সেই কবিতা সংগ্রহ পড়ছি। যার কোন আগা মাথা নাই। বানান ঠিক নাই। লেখার কোন ছন্দ নাই। প্রাণ নাই। কিছুই নাই। এসব কোন লেখা না। তুমি বরং অন্য কিছু চেষ্টা কর।”

জানতে চাইলাম,কি সেটা !

বলে , “একটা ওস্তাদ রেখে গান শেখার চেষ্টা কর। কাজে দিবে। লেখার কাজ তোমার জন্য নয়।”

মনটা ভেংগে খান খান হয়ে গেল। চোখ দিয়ে পানি বের হওয়ার জন্য ঠেলাঠেলি শুরু করেছে। নিজের দুর্বলতা দেখানো যাবে না। তাই জোর করে পানি চেপে রাখলাম। মনে মনে ভাবলাম, কেন যে হুইস্কির বোতলটা দিলাম । পয়সাটা পানিতে গেল পুরাই।

হটাৎ জিজ্ঞ্বেস করে বসলেন, “ তুমি কি আমার কোন লেখা পড়েছ?”

সাথে সাথে উত্তর দিলাম, “ পড়েছি। খেলারাম খেলা যা।”

বিরক্ত হয়ে বলে, “ আমি কি শুধু এই একটা বইই লিখেছি নাকি যে সবাই খালি ওটার কথাই বলে ?”

বললাম ,আসলে আর পড়ার সময় পাই নাই।

তখন বলে , “এবার নিজেই বল তুমি আমার কেমন ফ্যান। মাত্র একটা বই পড়েছ। তাও মনে হয় নাম দেখে ধরে নিয়েছ ঐ বইতে কোন খেলাধুলার গল্প আছে ,তাই।”

তারপর আমাকে অবাক করে দিয়ে বলে উঠলেন কবিতার মত করে – “খেলারাম খেলে যা যেহেতু তোমার প্রিয় বই। তাহলে সেই সুরেই বলি , লেখারাম, তুই লেখা ফেলে পালিয়ে যা।” বলেই আমার দিকে তেড়ে এলেন।

ধরে ফেলার আগেই আমি উঠে খিঁচে দৌড় দিলাম। দৌড়ে রাস্তায় নেমেই একটা রিকশার নীচে পড়ে জ্ঞান হারালাম। আসলে ঘুমের ঘোরে পালাতে গিয়ে বিছানা থেকে গড়িয়ে ফ্লোরে পড়ে খুব জোরে মাথা ঠুকে গেল খাটের কোনার সাথে। ব্যাথায় আমি চোখে তারাবাতি দেখা শুরু করলাম। 

১৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৬