আমার পরিচয়

 

১৯৬০ সনের ৯ই অক্টোবরে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে আমার জন্ম হয়। সেদিন সেই উপকূলীয় দ্বীপে ভয়ঙ্কর জলোচ্ছ্বাস ও তুফান হয়েছিলো। তাই গ্রামের আত্মীয়রা আমাকে মজা করে তুফাইন্যা নামে ডাকা শুরু করে।

আমার বাবা মাওলানা আবদুল হাই সাহেব নোয়াখালীর জেলার সুপরিচিত রাজনিতিক ব্রিটিশ ভারতের আমলে অবিভক্ত বাংলার আইন সভার সদস্য ছিলেন। আমার মা জননী আজমেরী বেগম ধামরাইয়ের কুসুড়া গ্রামের মেয়ে হলেও পুরাণ ঢাকায় বসবাস করতো পরিবারের সাথে। ঢাকার তৎকালীন ক্ষমতাধর মাজেদ সর্দারের মধ্যস্থতায় মা বাবার চতুর্থ স্ত্রী হন। মা’কে ভাল করে বুঝার আগেই তিনি আমাকে ৬ বছরের রেখে ১৯৬৬ সনে এবং বাবা ১৯৮৩ সনে মারা যান।

বাবা হাতিয়া ও ঢাকায় আসা যাওয়া করার সময় মা তার সব সময়ের সঙ্গী হতেন। তাই মনে হয় আমাদের লেখাপড়ার হাতেখড়ি এখানে সেখানে অনেকখানে হয়েছে। শুরুতে মহাখালীর আদর্শ বিদ্যালয় পরে হাতিয়ার আফাজিয়া স্কুল এবং শেষে ১৯৭৭ সনে মতিঝিল গভ স্কুল থেকে এস,এস,সি পাশ করি। ১৯৭৯ সনে নটরডেম কলেজ থেকে আই,কম এবং ১৯৮৫ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসা প্রশাসন বিষয়ে স্নাতক (সন্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করি।

১৯৮৯ সনে ঝোঁকের বশে আমেরিকায় দেশান্তরী হয়ে স্বাধীন জীবনের স্বাদ পেয়ে আর দেশে ফিরে যাই নাই। বাবা চার বিয়ে করলেও আমি শুধুমাত্র এক স্ত্রী এক মেয়ে দুই ছেলের বাবা। পেশায় ব্যবসায়ী।

লেখালেখির কোন অতীত ইতিহাস নাই। কাগজে কলমে পরীক্ষার খাতায় লেখা ছাড়া আর কিছু আমার মাথায় আসে নাই। অনলাইন বাংলা ব্লগে লেখার প্রথম হাতেখড়ি, পরে ফেইসবুকে প্রতিনিয়ত ছাইপাঁশ লেখি। এক আঙ্গুলের টাইপিস্ট আমি। আমার কোন প্রকাশনা নাই। নিজের বলয় ছাড়া আর কোথাও লেখালেখি করি না।

এই টুকুই আমার পরিচয়।

মুরাদ হাই, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২০

ওকল্যান্ডস গার্ডেন্স, নিউইয়র্ক, উত্তর আমেরিকা।